এসটিইএম এমপাওয়ারমেন্ট বুটক্যাম্পের সফল আসর
৩০ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর নাগাদ ১৬ দিনের এসটিইএম এমপাওয়ারমেন্ট বুটক্যাম্পের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। দেশের ইতিহাসে নারীর স্বাবলম্বন ও বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ে নানা প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসেবে এটিই প্রথম কোনো বড় আকারের উদ্যোগ। এসটিইএম বহুজাগতিক একটি উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমের বিজ্ঞান, প্রযুতি, প্রকৌশল এবং গণিতের নানা বিষয়ে মানুষদের দক্ষ করে তোলার জন্য সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। মূলত প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ রয়েছে এমন তরুণীদের সুপ্রশিক্ষিত ও সচেতন করার জন্য ফারহানাস ব্রেইনস্টেশন ‘শিলিডস’ এই বুটক্যাম্পের আয়োজন করে।
দেশে লিঙ্গবৈষম্যের নানা জটিল সংকট আমাদের প্রতিনিয়ত তাড়া করছে। ভবিষ্যতে প্রযুক্তিভিত্তিক খাতই পরিবর্তন করবে আয় ও চাকরির বাজার। অর্থনীতির নানা খাত, কর্মসংস্থান এবং অন্যান্য সবকিছুতেই প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, প্রকৌশলের জয়জয়কার এখনই অনুমেয়। কিন্তু এই কটি বিষয়ে পিছিয়ে আছে নারীরা। নারীদের প্রযুক্তিতে অংশগ্রহন করানোর জন্য তানজিনা আফরিন পুনম এবং তার নিবেদিত দল এই বুটক্যাম্পে মেধা ও শ্রম বিনিয়োগ করেছেন। ১৬ দিনের বিশাল কর্মযজ্ঞ তারা সফলভাবেই সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন। আয়োজনে অংশীদার হিসেবে বি টেকনোলজি অ্যান্ড রিসার্চ হাব, ইয়ুথ মুভমেন্ট, বিআইএন, দ্য ডেইলি স্টার, আর্টে মর্টে, রেডিও ধ্বনি, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, নাগরিক টিভি, অনন্যা ম্যাগাজিন, গতিপথ, হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট এবং সরকারি-বেসরকারি ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব অংশ নেয়।
এসটিইএম বুটক্যাম্পে ওয়েব ফান্ডামেন্টালস, পাওয়ার বাই ফর ডাটা অ্যানালিসিস, এআই মাস্টারি, উদ্যোক্তা, ক্লাউড কম্পিউটিং, সাইবারসিকিউরিটির প্রাথমিক জ্ঞানসহ অনেক বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের স্বনামধন্য ও দেশখ্যাত বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সেমিনার বা ওয়ার্কশপে তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—আলেয়া আক্তার, মো. উমাইদ হাসান, রনি সাদা, সৈয়েদুন নেসা অনি, জায়েদ সিফাত, অমিত চক্রবর্তী, এম এম আহবাদুর রহমান। তারা বিভিন্ন ভার্চুয়াল সেমিনারে অংশ নেন।
আয়োজনের শেষদিকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলেয়া আক্তার, ডন সুমদানি, ফারহা মাহমুদ তৃণা, তাসনুভা আহমেদ, ইনেকে হুরকমেনস, আচিয়া নিলা। পরিবর্তনশীল এই যাত্রার বিষয়ে তারা বক্তব্য দেন। বিশেষত প্রযুক্তি, প্রকৌশল, বিজ্ঞান এবং গণিতের জগতের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা নিয়ে তারা উপস্থিত অংশগ্রহনকারীদের উৎসাহ ও পরামর্শ জোগান। লিঙ্গবৈষম্য নিরসনের বিষয়েও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বুটক্যাম্পটির মূল উদ্দেশ্য ছিল অংশগ্রহনকারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির বাজারের জন্য প্রস্তুত করা। উদ্যোগ গ্রহন এবং তাকে সফলভাবে পরিচালনার ব্যাপারেও উৎসাহ দেয়া হয়। আয়োজনকারীদের শ্রম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সফলভাবে আয়োজিত হয়েছে। বুটক্যাম্পের সফলতার জন্য ফারহানাস ব্রেইনস্টেশনের ‘শি লিডস’ কর্তৃপক্ষ সকলের কাছে কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করেছে।
অনন্যা/এআই