আয়না
আর কত কাল!
আর যে সইতে পারি না জ্বালা অন্তর্যামী!
সেই-ই যে বাপের পকেট, মায়ের আঁচল চুরি
হাতেখড়ি
পক্কতা পেয়ে যৌবনে
ধরে নেশার আসক্তি
ছাড় পায়নি প্রতিবেশীরাও একরত্তি।
পায়নি সদ্য ফোটা আয়নার পুষ্পকলি
রেহাই মেলেনি সেদিন
দুমড়ে মুচড়ে হলো বলি
রক্তাক্ত নব বসন্ত হয়
কলঙ্কিত!
হায় একি
চুপ সবাই চুপ!
পেশীশক্তি ভাঙবে গরীবের আয়না
সচরাচর’ই
কিসের আইন কিসের বিচার?
এটাইতো চলমান রীতি।
আয়না ভাঙার সেই গগনবিদারী চিৎকার
চুয়ে পরা রক্তের ফিনকি
আমায় করেছে আজ ফেরারি।
খোঁজ নেয়া হয়নি ভাঙা আয়নার
মুখ দেখা হয়নি আর
শুনেছি দেখেছে পাঁচ ছয়জন
স্বামী সেজে
করেছে নিত্য ধর্ষণ নিপীড়ন
ফোটেনি ফুল
ভাঙা আয়নায় পৃথিবীর মুখ দেখেনি কোনো অঙ্কুর
পাছে সমাজ দিয়েছে নাম মক্ষীরানি
এটুকুই জানি।
মহাপাপের পাপী আমি
বিবেকের আসামী
পাপবোধ সর্বদা কুরে কুরে খেয়ে আজ নিঃস্ব অসহায়!
অর্ধ সেঞ্চুরি পার হয়েও হইনি নারীত্বে বিকিকিনি
ঘরবাঁধার স্বপ্নচারনও করিনি।
ভাবনায় নয়ন ভরে পানি
হঠাৎ!
পাঁচ টাকার কয়েনের শব্দে
তাকাই আমি
আয়না!
কেনো- চেনা যায় না?
আমি ক্ষমার অযোগ্য মহাপাপী পাষণ্ড ধর্ষক, আজ আমি সর্বহারা!
জানি সব জানি আমি
ভিক্ষার থালে তোমার জীবন-কারা,
শাস্তি দাও
গলাটিপে মারো তুমি!
না
তোমায় নিয়েই বাঁচতে চাই আমি।
বসন্ত কেড়েছো আমার
বাকি পাঁচ দু’জনার জন্যেই মহাদামী।
বউ হবে আমার?
কোনোদিন বুকছাড়া করো না স্বামী!