পরাভূত
আমি সারা জীবন বাস্তব দেখে দেখে এতদূর এসেছি
শৈশব থেকে যখনই কৈশোরে মিশেছি
নগর শহর ঘুরে ঘুরে যায় সরে বহুদূরে,
এখন সমাপন ঘটে যায় পৃথিবীর অগ্রাহ্য পাঠশালার
সমাপন ঘটে যায় ঢেউয়ে দোল খাওয়া কলমিলতার যৌবন
উগ্র বাতাস তার সহিত বিমুখ হয়েছিল কবে, শরীরে তার ধরেছিল ভাঙ্গন।
পৃথিবীর জনকৌশল ভুলে আমি তার সাথে কথা কই।
আমি পড়ে আছি কোথায়?
আমি পড়ে আছি পৃথিবী নামক জ্যান্ত চিতায়।
পথে ডোবা নাবিকের ঢেউ গোনা প্রত্যুষ
অহরহ ধরা দেয় বাস্তবিক জৌলুস,
কিঙ্করী সুশোভন করিয়াছি জ্ঞাপন
অবলীলার উপক্রম হয়েছিল কবে সেই; এই,
এই দোলাচল মায়াবল আজ আর নেই দিন সেই।
মুছে যাওয়া কোলাহল বিবরণ খুঁজেছিল
অলীক ঘমন্ডে কাতর নেমেছিল ওরা
গগন ফাটি আওয়াজ আসে; ঐ যে কোথায় পক্ষী ডাকে
মেঘের চিতা কোষছে হিসেব মায়ার ছায়া তারই ফাঁকে,
আক্রমণের শুদ্ধ তালু হচ্ছে আজও বেমালুম
পৃথিবীর সংকট লহময় চিত্তে, নরম উদ্বাস্তুর মতো একা জেগে রই।
আমাকে প্রাদুর্ভাবের বিভিন্ন সূত্রে একদিনও বাঁধতে চাওনি অথবা পারোনি
মেঘের ডানায় বাঁধা সুতোয় আমি এসেছিলাম হেথায়,
এই পথ ঘাট; মাঠ, ছিল চির সম্বল। তবু একদিন সবাই ভুলে যাবে আমায়।