পারিবারিক কলহ, বাঁধা হচ্ছে না তো শিশুর বেড়ে ওঠায়?
সন্তানের বেড়ে ওঠার প্রথম কারিগর তো তার পরিবারের সদস্যরা। শিশুর হাঁটতে শেখা পরিবারের কোনো সদস্যদের আঙুল ধরে। বেড়ে ওঠার প্রতিটা ধাপেই শিশু শিক্ষা নেয় তার পরবিার থকে। তবে দিনকে দিন আধুনিকীকরনের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদরে সমাজে বেড়ে চলেছে যৌথ পরিবার ভেঙে একক পরিবারের সংখ্যা। আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে পারিবারিক কলহও। আর তা বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে সন্তানের বেড়ে ওঠায়।
যৌথ পরবিার এবং একক পরিবার নিয়ে পক্ষ- বিপক্ষে রয়েছে বিভিন্ন তর্কবিতর্ক তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, যে প্রকৃতরি পরিবারই হোক না কেন, শিশুর বেড়ে ওঠায় দরকার পরিবারের সম্প্রীতির। কারন সন্তানের বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় বাড়ির অশান্ত পরবিশে। হোক সে যৌথ পরিবার কিংবা একক পরিবার। তবে চলুন প্রথমইে দুটি গল্প জেনে নেয়া যাক-
'ছোটোবেলা থেকেই যৌথ পরিবারে বড় হয়েছেন মীম। বাবা মার ব্যস্ততায় বেশীরভাগ সময় কাটতো পরিবারের অন্য সদস্যদরে সাথে। কিন্তু দিনভর পরিবারের মানুষদের একে অপরের সাথে হিংসা, ঝগড়া দেখে দেখে বড় হয় মীম। যা দিনের পর দিন তার মানসকি ও আচারনগত দিকে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। এবং তার বিকাশে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় বাড়ির মধ্যাকার অশান্ত পরিবেশ। তাই দিনের পর দিন সে খিটখিটে ও বদমেজদজি হয়ে ওঠে। সমাজের র্সবস্তরে তাকে ভিন্নচোখে দেখা হয়। যা তার স্বাভাবকি জীবনযাপনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।'
'অন্যদিকে তারই বন্ধু নেহা বড় হয় একটি একক পরবিারে। যেখানে তার অভিভাবক শুধু তার বাবা – মা। তার জন্মের কয়কে মাস পর থেকে তার বাবা মায়ের সর্ম্পকের মধ্যে চির ধরতে শুরু করে। নেহা যখন বুঝতে শুরু করে তখন থেকেই দেখতে পায় তার বাবা-মার ঝগড়া। আর যে কারনে তারা একসাথে মেয়েকে সময় দিতে পারে না। তাই একা একা বড় হতে হতে নেহার মধ্যে একগুয়েমি বদমজোজি ভাব চলে আসে। দিনভর মুখ গুজে থাকে। আপনমনে নিজের মধ্যে বিচরণ করে। আর তিনিও সাধারণ জীবনযাপন করতে পারেননা। '
শুধু মীম কিংবা নেহা না। আমাদরে সমাজে এমন অনেক মীম কিংবা নেহা রয়েছে সে যৌথ পরিবারে হোক অথবা একক পরবিারে। যারা প্রতনিয়িত বলি হচ্ছে পারবিারকি কলহের। অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তাদের মানসকি ও আচরনগত দিকে। দিনের পর দিন পরিবারের অশান্তি দেখে বেড়ে ওঠা এই শিশুরা হতাশায় ভুগে এমনকি বিভিন্ন ধরনরে অসামাজিক র্কমকান্ডে লিপ্ত হয়। সমাজ কিংবা পরিবারের চোখে তারা সহিংস হয়ে ওঠে। পরিবারের সদস্যরা একে অপরের সাথে যেভাবে আচরন করবে শিশুর সেভাবে আচরন করতে শিখবে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চিৎকার চেঁচামিচি দেখে বেড়ে উঠলে শিশুও সেই আচরণ আয়ত্ত করে।
অনেক সময় দেখা যায় বাবা-মায়ের মধ্যে কলহের কারন হয় সন্তান। সন্তানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ঝগড়াঝাটি হয় বাবা- মাকে ঘিরে। একসাথে বসবাস করতে হলে মনোমালিন্য দেখা দিতেই পারে। কিন্তু তা নিয়ে যদি তীব্র কোনো সংঘাতের জন্ম নেয়। তবে তা নিঃসন্দেহে শিশুর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর এমন অবস্থায় সকল খারাপ পরস্থিতিরি জন্য শিশুটি নিজেকে দায়ী করতে থাকে। তার মধ্যে নানাধরণের দুশ্চিন্তার তৈরী হয়। এমতাবস্থায় অনেক শিশু আত্মঘাতীও হতে পারে।
তাই শিশুর একটি সুন্দর ভবষ্যিৎ নিশ্চিত করতে দায়িত্ব নিতে হবে তার পরিবারকেই। পরবিারের যেকোনো সমস্যায়ই হোকনা কেন, তার আঁচ শিশু গায়ে না লাগতে দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। শিশুর সামনে ঝগড়াঝাটি চিৎকার চেঁচামেচি করা উচিত নয়। একটি শিশুর সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ গড়ে তুলুন সকল পারিবারিক কলহ থেকে তাকে দূরে রাখে।