নাসিরনগরে ইমামের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জেলার নাসিরনগর উপজেলা কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম মাওলানা মোখলেছুর রহমান নিয়োগ পাওয়ার পর পরই মুসল্লীদের সাথে দুর্ব্যবহার, নামায ভূল পড়ান এবং হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। শুধু তাই নয়সরকারি কোন অনুষ্ঠানে মাও. মোখলেছুর রহমানকে পাওয়া যায় না।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে টাকা ও জায়গা ক্রয় নিয়ে অনিয়মের অভিযোগসহ মন্দির ভাংচুরের মামলা। স্থানীয় মুসল্লী দুধ মিয়াসহ ২০জন মুসল্লীর নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এক আবেদনে জানা যায়, নাসিরনগর উপজেলা কমপ্লেক্স মসজিদের আড়াই বছর আগে নিয়োগ নেওয়ার পর ইমামতি করার সময় প্রায় নামাজ ভূল পড়ান।
বিষয়টি স্থানীয় মুসল্লীরা লোকমা দিলে তিনি রেগে যান এবং মুসল্লীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এছাড়াও তিনি প্রায় সময় নিয়মিত ওয়াক্তের নামাজ পড়াতে আসেন না। অন্য আরেকজনকে পাঠিয়ে দেন। এক বছর আগেও মুসল্লী জুনু মিয়ার সাথে কিতাবী চ্যালেঞ্জ নিয়ে ঝগড়া হয় তার।
মাও. মোখলেছুর রহমান মসজিদের নিয়োগের পর মসজিদটি মাদরাসার পকেটে ঢুকিয়ে নেওয়ার কৌশল করছেন। নাসিরনগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদরাসার নামে টাকা কালেশন করেন। কিন্তু মসজিদের কোন উন্নয়ন কাজে তিনি অংশগ্রহণ করেন না।
মুসল্লী সেলিম মিয়া দ্বীনি ও দুনিয়াবী বিশেষ বিশেষ দিবস এবং দোয়ার কথা বললে মাওলানা মোখলেছুর রহান তার কথা এড়িয়ে যান। তার এরকম কর্মকান্ডে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লীদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় তিনি সরকারী কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন না। স্বয়ং নির্বাহী অফিসার উনাকে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায় নি।
অনুষ্ঠানে দাওয়াতে আসবে বলেও আসেন না। এলাকা সচেতন মহলের দাবী মসজিদকে বাঁচাতে ইমাম সাহেবের অপসারণসহ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। এ বিষয়ে মাও. মোখলেছুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে ০১৭২৬-৬৭৭১৩৪ এই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।