‘বিশ্ব শান্তির অন্বেষায়’ ২ দিনের সম্মেলন
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে গিয়েছেন বিশ্বের হাজারও গুণী নেতা। বাংলাদেশেও এমন একজন নেতা হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর দেশে বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের আন্তর্জাতিকীকরণের লক্ষ্য নিয়ে ঢাকায় দুই দিনের বিশ্ব শান্তি সম্মেলন শুরু হচ্ছে ঢাকায়।
সম্মেলন টি হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীর তিনটি ভেন্যু হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, সোনারগাঁও হোটেল ও ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে, যাতে ৫০ এর বেশি বিদেশি অতিথি সরাসরি ও ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে যোগদান করবেন।
'অ্যাডভান্সিং পিস থ্রু সোশ্যাল ইনক্লুশন' প্রতিপাদ্যে শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে থাকবেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠান হবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে হবে প্যানেল আলোচনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সম্মেলন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা বরেণ্য ব্যক্তি ছাড়াও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, শিল্পী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবীদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে চারটি প্যানেলে নির্ধারিত বিষয়ের উপর আলোচনা করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর শান্তি দর্শনের আলোকে শান্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনা হবে এবং 'ঢাকা শান্তি ঘোষণা' শীর্ষক একটি সর্বসম্মত ঘোষণার মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হবে বলে তিনি জানান।
সম্মেলনের উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খ্যাতিমান কয়েকজন অতিথি সংযুক্ত হবেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকবেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান-কি মুন, মিশরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরব লীগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসা, পূর্ব তিমুরের সাবেক প্রেসিডেন্ট নোবেলজয়ী হোসে রামোস হোর্তা ও মালয়েশিয়ার সাবেকমন্ত্রী সৈয়দ হামিদ আলবার। অপরদিকে সমাপনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, সিঙ্গাপুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক টং ও ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা।
সম্মেলন উপলক্ষে শনিবার সোনারগাঁও হোটেলে ডিনার ও সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং শেষ দিন পিঠা উৎসব হবে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ব শান্তি সম্মেলন আয়োজনের অনুমোদন চলতি বছরের মার্চ মাসে। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সভাপতি ও সায়মা ওয়াজেদকে সদস্য সচিব করে ৪৬ সদস্যের আয়োজক কমিটি গঠন করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি সম্মেলন আয়োজনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, "শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবতার কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর নিবেদিত ভূমিকা এবং তার দর্শনের উপর ভিত্তি করে প্রণীত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংবিধান ও শান্তিকামী পররাষ্ট্রনীতিকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে পরিচিত করার ক্ষেত্রে 'বিশ্ব শান্তি সম্মেলন' উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।"