পাঠক ও লেখকদের চোখে অনন্যা
অদ্বিতীয় কিংবা যার কোনো তুলনা হয় না, তাকেই বলা হয় ‘অনন্যা’। নিজগুণে গুণান্বিত হয়ে ছোট্ট এই শব্দটিই নিজেকে অনন্য হিসেবে তৈরি করে নেয়। ‘অনন্যা’ শব্দটি নারীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। আর এই নারীদের কণ্ঠস্বর হয়ে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে ‘অনন্যা ম্যাগাজিন’।
১৯৮৭ সাল থেকে অনন্যা প্রকাশিত হয়ে আসছে। প্রকাশিত করছে নারীদের মনোভাব। ৩৪ বছরের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নারীদের জন্য অদ্বিতীয় ম্যাগাজিন হয়ে আছে এই ‘অনন্যা’। নারীর কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছে এই ম্যাগাজিন। ‘অনন্যা’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লেখক-পাঠকরা জানিয়েছেন তাদের প্রতিক্রিয়া।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সুমনা আক্তার বলেন, ‘অনন্যা নারীদের নিয়ে কাজ করে। নারীদের নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কথা বলে। একজন পাঠক হিসেবে নারীদের নানা বিষয়ে এই ম্যাগাজিন থেকেই জানতে পারা যায়। আমি একজন নারী হয়ে আমার নানা সমস্যার সমাধান এই ম্যাগাজিনের বিভিন্ন কন্টেন্ট থেকে পেয়ে থাকি। সেই সঙ্গে বিশেষ দিবসগুলোতে নিজেদের নানা মতবাদও এই ম্যাগাজিনের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারি। অনন্যা নারীদের নিয়ে এভাবেই কাজ করে যাক। অনন্যার জন্য রইলো শুভকামনা।’
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা পারভিন বলেন, ‘প্রতিটি মানুষ যেমন নিজের কাজের জন্য পরিচিতি পায়, সেভাবেই অনন্যাও নিজের কাজের জন্য সবার কাছে পরিচিত। আমার দেখা প্রথম নারী ম্যাগাজিন, যেখানে শুধু নারীদের নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। একজন নারী হিসেবে আমি কী বলতে চাই, সেই বিষয়টা অনন্যা তুলে ধরে। এজন্যই হয়তো এটি অনন্য। একজন পাঠক হিসেবে অনন্যার কন্টেন্টগুলো পড়ে অনেক তৃপ্তি পাই। অনন্যা আগামী দিনগুলোতেও নারীদের বিষয় গুলো তুলে ধরুক এই প্রত্যাশাই রইলো।’
ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক্স ডিজাইনার নাদিয়া হাসিবা বলেন, ‘অনন্যার ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। নারীর আওয়াজ যদি কেউ হতে পারে, সেটি হলো অনন্যা। কারণ অনন্যা নারীর সেই সব বিষয় তুলে ধরে, যা নারীরা প্রত্যহ ফেস করে। আমি একজন নারী, আমি বাসে উঠে যে হয়রানির শিকার হই, তা কাউকে বলতে পারি না। শুধু আমি কেন, কোনো নারীই এই বিষয়গুলো কাউকে বলতে পারে না। আওয়াজ তুলতে পারে না। কিন্তু অনন্যা নিজে থেকে এই বিষয়গুলো তুলে ধরে। পাঠক হিসেবে অনন্যার কন্টেন্টগুলো নিজেদের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে মনে করি। অনন্যা এভাবেই নারীদের মুখপাত্র হয়ে কাজ করুক, এভাবেই এগিয়ে যাক। এই প্রত্যাশাই করি।’
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া কায়সার বলেন, ‘নারীর চলতে ফিরতে দোষ খোঁজার মানুষের অভাব নেই। কিন্তু সেই মানুষগুলোকে প্রোটেস্ট করার সাহস হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া পারে না। যারা নিজেদের জন্য কথাটা বলতে পারে না, তাদের সেই কথাগুলো অনন্যা নিজেদের কন্টেন্টগুলোতে তুলে ধরে। সেই কন্টেন্টগুলো তখন নারীদের আওয়াজে পরিণত হয়। অনন্যা নারীদের ছোটখাটো বিষয়গুলোও তুলে ধরে। এজন্যই অনন্যা পড়তে ভালো লাগে। শুধু নারীদের মেজর বিষয়গুলোই নয়, পাশাপাশি লাইফস্টাইল নিয়েও কন্টেন্ট পাওয়া যায়। যা নারীদের জন্য উপকারী। সে কারণেও অনন্যা পড়া হয়। অনন্যার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রইলো শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।’