রূপচর্চায় কলার ব্যবহার
রূপচর্চায় কলার ব্যবহার চলে আসছে সেই প্রাচীনকাল থেকে। কলা খাওয়া যেমন শরীরের জন্য ভালো, কলা ত্বকে মাখা ত্বকের জন্য ঠিক ততখানিই উপকারী। ত্বকের যত্নে কলা ব্যবহার নিয়ে আজ আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।
কলায় ভিটামিন এ, বি এবং ই রয়েছে, একত্রে যেগুলি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রূপে কাজ করে, যা আপনার ত্বকের মৃত কোষগুলিকে খসিয়ে দেয়, রোমকূপের মুখ খুলে দেয়, ত্বক কে টানটান করে ও ত্বকে নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। কলা তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা কোমলতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায় কলা অনেক উপকারী। কলা উচ্চ পটাশিয়াম যুক্ত ফল। যা ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। একটি কলার অর্ধেক অংশ চটকে তা মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়, এতে ত্বক নরম ও কোমনীয় হবে। অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকে কলার পাশাপাশি মধু ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কলা অনেক ভালো কাজ করে। এক চা চামচ কমলার রস, এক চা চামচ মধু ও অর্ধেকটা কলা ভালো করে চটকে মিশিয়ে নিন। এই প্যাক-টি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করুন। ১৫-২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাৎক্ষণিক ত্বকের পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে দারুণ একটি প্যাক।
কলা তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। নিত্য সৌন্দর্য চর্চার জন্য কলা ব্যবহারের উত্তম উপায় হল একটি মুখের প্যাক তৈরি করা। কলা, মধু ও লেবুর রস দিয়ে তৈরি মুখের প্যাক অত্যন্ত ফলপ্রদ মুখের শুষ্কতা বজায় রেখে তৈলাক্ততা দূর করতে। এটি ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
কলার খোসায় আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ত্বকের উপর উপকারী। ব্রণের উপর কলার খোসায় সাদা অংশ বাদামি হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ঘষতে হবে। মুখের দাগ ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। এটি সপ্তাহে ২-৩দিন ব্যবহার করতে পারেন।