মশলার রাণী এলাচ
তরকারি রান্নার শেষে একটু মশলা না দিলে কি হয় নাকি? রান্না শেষে চুলা বন্ধ করার আগে একটু মশলা গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখা হয়। এতে করে তরকারিতে মশলার সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ে।
রান্নায় স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়াতে যে মশলা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে তা হল এলাচ। সকলের রান্নাঘরেই এলাচ পাওয়া যায়। এলাচের গুণের কারণে এলাচকে বলা হয় মশলার রাণী। এলাচের চাষ অনেক দেশ করলেও ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল প্রভৃতি দেশে এলাচের উল্লেখযোগ্য চাষ করা হয়। এলাচের উপকারিতাও রয়েছে অনেক। ভিটামিন সি, ক্যালরি, ফাইবার, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, প্রোটিন প্রভৃতি এলাচে থাকে। ফলে মানবদেহের নানান রোগ প্রতিরোধে এলাচ সাহায্য করে।
এলাচের গাছ অনেকটা আদা গাছের মতো এবং এলাচ গাছের কাণ্ডে ধরে। এটি অনেক ক্ষুদ্র একটি মশলা, সাইজে সম্পূর্ণ গোল হয় না সামান্য লম্বাটে হয়ে থাকে। প্রধানত দুই ধরনের এলাচ পাওয়া যায়। ১. কালো এলাচ এবং ২. সাদা এলাচ। এলাচে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্টের জন্য বেশ উপকারী। হার্টের রোগীদের প্রতিদিন একটি করে এলাচ খাওয়া উচিত। এতে করে হার্টের সমস্যা দূর হয়।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের প্রতিদিনের খাবারে এলাচ খাওয়া উচিত। কারণ এলাচ উচ্চ রক্তচাপের মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে। মানুষের হজমে সহায়তা করে এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে নিস্তারে এলাচ বেশ উপকারী। হজম শক্তি বাড়িয়ে পেট খারাপ ও বুক জ্বালা বন্ধ করে এবং মানুষের খাওয়ার অনীহা দূর করতে এলাচ কার্যকর।
শ্বাসকষ্ট থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন এলাচ খেলে আরাম পাওয়া যায়। এছাড়াও সর্দি-কাশি নিরাময়েও এলাচের ভূমিকা রয়েছে। শরীরে ক্যান্সার ও টিউমার কোষ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে এলাচ। ফলে প্রতিদিন এলাচ খেলে তা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কার্যকর। এছাড়া কোলেস্টেরল কমাতেও এলাচ উপকারী।
স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর জন্য বাদাম যেমন উপকারী, একইভাবে এলাচ ও স্মৃতি শক্তি বাড়াতে উপকারী। এছাড়া এলাচের সুগন্ধ মস্তিষ্ককে সতেজ ও শান্ত রাখতে বেশ উপকারী। এছাড়া ত্বকের ও চুলের যত্নেও এলাচ বেশ কার্যকর।