শীতে পা ফাটা এড়াতে
আগমনী বার্তা শেষে প্রকৃতিতে এসেছে শীত। হিমেল এই ঋতু অনেকের কাছেই প্রিয়। দিনরাত নির্বিশেষে করা যায় কাজ। ঘুরে বেরানোর উৎকৃষ্ট সময়। তবে পিঠা-পুলির ঋতুতে দেখা দেয় নানা শীতকালীন রোগ। এরমধ্যে অন্যতম পা ফাটা। শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে আবহাওয়ার কারণেই মূলত পা ফাটা শুরু হয়।
শীতকালে পা ফাটা একটি প্রচলিত সমস্যা। প্রায় সকল বয়সের মানুষ এ সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাই পা ফাটা-রোধে চাই বাড়তি যত্ন।
পা রাখুন পরিষ্কার
শীতকালে পা পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ ধুলাবালি পায়ের জন্য ক্ষতিকর। এসময় অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ অতিরিক্ত গরম পানি ত্বককে শুষ্ক করে তোলে।
জুতা ব্যবহারে চাই সতর্কতা
শক্ত জুতার তলা পায়ের গোড়ালির জন্য ক্ষতির কারণ। তাই শীতকালে জুতা অবশ্যই মোজার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে৷
পা ফাটা রোধে করণীয়
– দেড় থেকে দুই লিটার কুসুম গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর ১৫ মিনিট ধরে পা সেই পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল রয়েছে যা পায়ের ত্বক নরম করে এবং পা ফাটা কমাতে সাহায্য করে।
– কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর পিউমিক স্টোন দিয়ে পা ঘষে ধুয়ে ফেলুন। অনেকটা উপকার পাবেন।
– পা ফাটা রোধে গোলাপজল ও গ্লিসারিনে থাকা বিভিন্ন উপাদান পা ফাটা রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। রাতে ঘুমানোর আগে সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করুন। ভালো ফল পাবেন।
– পা ফাটা রোধে কলার পেস্ট দারুণ একটা পদ্ধতি। ২টি কলা ভালো করে চটকিয়ে আক্রান্ত স্থানে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
– একটি বালতিতে কুসুম গরম পানি নিয়ে ২ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে হবে। সেই পানিতে ২০ মিনিট ধরে পা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পাথর দিয়ে পায়ের গোড়ালি আস্তে আস্তে ঘষতে হবে। এরপর পা নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। শুকিয়ে গেলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এভাবে উপকার মেলা সম্ভব।
ঘরোয়া উপায়ের পাশাপাশি পা ফাটা রোধে বাজারে অনেক ক্রিম পাওয়া যায়। কিছু হারবাল ক্রিম রয়েছে যা পা রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পায়ে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার, গ্লিসারিন, নারকেল তেল, অলিভ ওয়েল ইত্যাদি ব্যবহারে সুফল পাওয়া যায়। তবে এতে অবস্থার উন্নতি না হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।