Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ২০১৯’ এর জন্য নির্বাচিত প্রতিভা সাংমা

শিক্ষার আলো না থাকলে একটা জনগোষ্ঠীর জগৎ অন্ধকারেই ডুবে থাকে। এ কথা সবচাইতে ভালো বুঝেছিলেন নব্বই ছুঁই ছুঁই প্রতিভা সাংমা। চিরকুমারি এই গারো নারীর জন্ম সেই ১৯৩২ সালে। সংসারের অনটন সত্ত্বেও প্রতিভাকে তাঁর মা ময়মনসিংহ শহরের বিদ্যাময়ী গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি করে দেন।

 

মহিষের গাড়ি ও পায়ে হেঁটে মধুপুর জঙ্গল পাড়ি দিয়ে মায়ের সাথে ময়মনসিংহ শহরে যেতে হতো। ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে ১৯৪৯ সালে। ১৯৫২ সালে তিনি ময়মনসিংহ শহরের হলিফ্যামিলি হাইস্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে তিনি হালুয়াঘাটের সেন্টমেরি মিশনারি হাইস্কুলের চাকরি ছেড়ে নিজ গ্রামে চলে আসেন।

 

পরবর্তী সময়ে মধুপুর বনাঞ্চলে শতাধিক মিশনারিরা প্রাইমারি ও তিনটি উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। তার গ্রামের দুই শতাধিক গারো পরিবারে এখন কোনো অশিক্ষিত মানুষ নেই।

 

গত ৬ আগস্ট, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে ৮৭ বছর বয়সে মধুপুর উপজেলার নিভৃত পল্লী ইদিলপুরের বাড়িতে নশ্বর জীবন থেকে চিরবিদায় নেন এই মহীয়সী নারী। গারো জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে এবং গারো নারী জাগরণে অনন্য অবদান রেখে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গারো সম্প্রদায়ের মধ্যে 'দিদি' হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি।

 

'অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ২০১৯' দেখতে চোখ রাখুন পাক্ষিক অনন্যার ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ