ব্যায়াম করতে গিয়ে হীতে বিপরীত করছেন না তো?
ঘুম না হওয়া
দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি মানুষের ঘুমের প্রয়োজন পড়ে। তবে ব্যায়াম করার পর শরীরে ঘুমের চাহিদা অনেকটা বেড়ে যায়। এই সতেজ ঘুমের ফলে শরীরের যাবতীয় অবসন্নতা দূর হয়।যদি লক্ষ করা যায় যে, ব্যায়ামের পর পরিমাণ মত ঘুম হচ্ছে না কিংবা একদমই হচ্ছে না, তবে বুঝতে হবে, ব্যায়াম পরিমাণের চেয়ে বেশি হয়ে যাচ্ছে। এবং এর কারণেই ঘুম জনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব হওয়া
সাধারণত শারীরিক সুস্থতার জন্যই ব্যায়াম করা হয়। এবং এতে শারীরিক দুর্বলতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে এবং শারীরিক প্রশান্তি অনুভব হয়। কিন্তু ব্যায়াম পরবর্তী সময়ে যদি শরীরের ক্লান্তি বেড়ে যায় অথবা শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব হয়, তবে বুঝতে হবে ব্যায়ামের পরিমাণ অতিরিক্ত হচ্ছে। অতএব অতিরিক্ত ব্যায়াম থেকে নিজেকে আড়ালে রাখতে হবে।
ব্যায়ামের মাধ্যমে শারীরিক ক্লান্তি দূর হয়, সুস্থতা ফিরে আসে,এবং অনুভূতি সতেজ হয়।এবং মানসিক নানা সমস্যার সমাধান ও হয়। কিন্তু ব্যায়াম পরবর্তী সময়ে যদি নিজের মাঝে একগুঁয়েমি মনোভাব চলে আসে, কিংবা বিরক্তিকর অনুভূতি হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে, বেশি পরিমাণে ব্যায়াম করা হচ্ছে। এবং এর ফলেই এমন সমস্যার উৎপত্তি।
হরমোনজনিত সমস্যা
অতিরিক্ত ব্যায়ামের অন্যতম ক্ষতিকর দিক হচ্ছে হরমোন জনিত সমস্যা। এতেকরে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মহিলাদের পিরিয়ডগত সমস্যার সৃষ্টি হয়। হাত-পা ব্যথাসহ মানসিক অস্থিরতায় ভুগতে হয়। স্বাস্থ্য অনেকসময় ভেঙে পড়ে, নতুবা শরীর অতিরিক্তভাবে বেড়ে যায়। এসব লক্ষ্মণ শরীরে বোধ হলে নিশ্চিত বুঝতে হবে অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণে এতসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ধীরগতির উন্নতি
স্বাভাবিকভাবে ব্যায়ামের ফলে বেশ দ্রুত শারীরিক উন্নতি হতে শুরু করে। কিন্তু ব্যায়াম পরবর্তী সময়ে ও যদি শারীরিক উন্নতির ধীরগতি লক্ষ করা যায়, কিংবা উন্নতির চেয়ে অবনতির দিকে ধাবিত হয়, তবে বুঝতে হবে অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণেই শারীরিক উন্নতির এমন চিত্র।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অবক্ষয়
সঠিক ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি সতেজ এবং স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠে। এতে জীবন চলাচলে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ অনুভব হয়।কিন্তু ব্যায়াম করতে গিয়ে অজানা বা ভোল বসত পরিমাণের তুলনায় অধিক ব্যায়াম করতে থাকে। এতেকরে শরীরের নানা অঙ্গে সমস্যা দেখা দেয়। যেমন হাত-পা ব্যথা করা, বিভিন্ন পয়েন্টে অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব হওয়া, ভারি চলাচলে কষ্ট অনুভব হওয়া ইত্যাদি,। এসব লক্ষ্মণ দেখা দিলেই বুঝতে হবে অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে সমস্যা হচ্ছে। এবং যতদ্রুত সম্ভব অতিরিক্ত ব্যায়াম থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
ব্যায়ামের উপকারিতা বেশ প্রশংসনীয়। এতেকরে ব্যক্তি জীবনের শারীরিক বা মানসিক নানা সমস্যা ও সমাধান হয়।অতএব, ব্যায়ামের মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা এবং আশানুরূপ সাফল্য পেতে হলে উপযুক্ত পন্থায় এবং নির্দিষ্ট নিয়মের ভিত্তিতে ব্যায়ামের প্রতি যথাসম্ভব সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এবং মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম অবশ্যই পরিহার করতে হবে।