Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাজলী হোসেন-আল বালুশি: দুই নারী অগ্রদূত

হাজার বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে নারী আজ বহু ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারাই সফলতার শীর্ষে। এবার, শীর্ষ নারীদের তালিকায় যোগ হলো আরও একটি নাম-নাজলী হোসেন। এশিয়ার শীর্ষ ১০ নারী স্থপতির তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের নাজলী হোসেন। প্রতিনিয়ত বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের নারীরাও দখল করে নিচ্ছে নিজেদের জায়গা।

শুধু বাংলাদেশের নারীরাই নয়, ধর্মীয় দিক থেকে রক্ষণশীল দেশগুলোতেও নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে নিজেদের মেধার জোরে। সম্প্রতি ওমানের জাতীয় বিমান পরিবহন সংস্থা ‘ওমান এয়ার’ পাইলট মহা আল বালুশি নামের এক নারীকে প্রথম নারী ওমানি ক্যাপ্টেন ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে দেশটিতে নারীদের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো।

উপর্যুক্ত দুটি ঘটনা দুটি ভিন্ন দেশের হলেও নেপথ্যে রয়েছে একটি আশার আলো-নারীদের এগিয়ে যাওয়া। একসময় পরাধীন ছিল নারীরা। পুরুষদের তৈরি নিয়মে নারী ছিল বন্দি। পুতুলখেলায় যেভাবে পুতুলের নিজস্বতা বলে কিছু থাকে না, ঠিক সেরকম নারীদেরও নিজস্বতা ছিল না। নারী ছিল পুতুলের ন্যায়, আর কলকাঠি নাড়াতো পুরুষ।

কিন্তু দিন বদলেছে, বদলেছে সময়। নারীরা এখন নিজেদের জায়গায় স্বকীয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের শিকল ছিঁড়ে নারী এখন স্বাধীন। শুধু শিক্ষকতা বা নার্সিং অথবা সামরিক ক্ষেত্রের বাইরে নারী এখন স্থপতি, নারী এখন ক্যাপ্টেন। নারী এখন শুধু কারও মা, কারও বোন,কারও স্ত্রী-এই পরিচয়েই না, নারীরা নিজের পরিচয়ে পরিচিত।

বিশ্বের দরবারে নারীদের এমন অর্জনের কৃতিত্ব নারীদের। ইচ্ছা আর মেধাশক্তির জোরে সব ক্ষেত্রেই নাম করেছে নিজেদের। নারীরা বুঝতে শিখেছে কোথায় তাদের আসল গন্তব্য। তাই তো চিরকাল পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পরানো শিকলে বন্দি না থেকে বেছে নিয়েছে মুক্তির পথ। খাঁচায় বন্দি না থেকে আকাশে ওড়াতে শিখেছে নিজেদের।

তবে এখানেই শেষ নয়। অজপাড়া গ্রামে নারীরা যে এখনো পিছিয়ে। এগিয়ে আসতে হবে তাদেরও। মুক্ত বাতাসের স্বাদ নিতে হবে যে। প্রতিটি নারী যেন মুক্তি পায় শোষণ-বঞ্চনার কবল থেকে। পূর্ণতা পায় যেন প্রতিটি নারীর স্বপ্ন। নারীদের এগিয়ে যেতে হবে বহুদূর।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ