Skip to content

২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গর্ভাবস্থায় যে সব বিষয়ে সাবধানতা জরুরি

গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।  তাই সাধারণ সময়ের মতো সব ধরনের কাজে আপনি অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। সন্তান ও নিজের সুস্বাস্থ্যের জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবেই। সেই ক্ষেত্রে আজ পরিচিত হয়ে নিন এমন কিছু বিষয়ের সাথে, যা গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলবেন: 

 

১. কিছু খাবার গর্ভবতী মা ও সন্তান দুজনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই এই সময়ে অনেকটাই সচেতন হতে হবে গর্ভবতী মায়ের খাবার নিয়ে। কাঁচা খাবার, কম রান্না করা বা দূষিত খাবার, কাঁচা বা অল্প সেদ্ধ ডিম, কাঁচা মাংস,  মশলাযুক্ত খাবার,  অ্যালকোহোল, অত্যধিক ফ্যাটযুক্ত খাবার,  অত্যধিক চিনি-সমৃদ্ধ খাবার, এলার্জি সৃষ্টিকারী কোনো খাবার এ-সব মা ও সন্তানের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। 

 

২.  গর্ভকালীন পুরো সময়টা একদম শুয়ে-বসে কাটানো উচিত না। এতে শরীরে পানি জমে যেতে পারে, শরীর ভারী হয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় একজন মা প্রতিদিন ৩০ মিনিট যেকোনো মধ্যমানের ব্যায়াম  করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করলে আবার কম ওজনের শিশু জন্ম নিতে পারে। তাই হালকা ব্যায়াম করতে হবে, কোনো ভারী কাজ করা যাবে না। কোনো ভারী জিনিস তোলার চেষ্টাও করা যাবে না।

 

৩. গর্ভবতী মায়ের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি  মানসিক সুস্থতাও সার্বিকভাবে নিশ্চিত করা প্রয়োজন। গর্ভবতী মায়েদের শরীরে হরমোন পরিবর্তনের কারণে এ সময়ে তাঁদের অনেকেই কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন৷ তাই কোনোভাবেই তাঁর ওপর মানসিক কোনো চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। 

 

ক্ষতিকর নয়। কিন্তু গর্ভাবস্থায় এক্সরে ও সিটি স্ক্যান করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকুন। এর ফলে গর্ভস্থ বাচ্চার রেডিয়েশনজনিত ক্ষতি হতে পারে। 

 

৫.  গর্ভাবস্থায় কোথাও  ভ্রমণকালে অবশ্যই বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, ভ্রমণকালেই সাধারণত বেশি ঝুঁকি পরিলক্ষিত হয়। আর সব চেয়ে  বেশি সতর্ক হতে হবে প্রথম তিন মাস এবং শেষ তিন মাস।  এ-সময় গর্ভপাতের ঝুঁকি বেশি থাকে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ