Skip to content

পুজোয় ঘরের সাজেও আনুন পরিবর্তন

পুজোয় ঘরের সাজেও আনুন পরিবর্তন

চলে এসেছে শারদীয় দুর্গাপূজা। সারা বছর যেভাবেই কাটুক না কেন পূজা এলেই উৎসবের রং ছড়িয়ে যায় সবখানে। সেই হাওয়া লাগে ঘরের সাজেও। পূজার মতো উৎসবে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিথি আগমন বেশি হয়। মনে রাখতে হবে, বসার ঘরের অন্দরসাজ আমাদের রুচির প্রথম বহিঃপ্রকাশ। আর সে কথা মাথায় রেখে আপনার বাড়ির সদর দরজা থেকেই না হয় শুরু হোক উৎসবের আবাহন। পূজায় ঘরের সাজ কেমন হতে পারে, তা নিয়েই আমাদের এই আয়োজন।

পুজোয় ঘরের সাজেও আনুন পরিবর্তন

সবার আগে ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভাঙা, ময়লা হয়ে যাওয়া, তেলচিটে জিনিস সরিয়ে ফেলুন। জিনিস কম থাকলেও চলে যাবে কিন্তু ভাঙা, ময়লা জিনিস ব্যবহার করবেন না। এবার আসা যাক পরিবর্তনের কথায়। ঘরের লুক পাল্টাতে জিনিসের জায়গা পরিবর্তন করুন। দক্ষিণ-পূর্ব থেকে খাটটা নিয়ে যান দক্ষিণ-পশ্চিমে। ঘরের একটা জিনিস সরালেই দেখবেন বাকিগুলোও ওই সার্কেলেই বদলে যাচ্ছে।

পুজোয় ঘরের সাজেও আনুন পরিবর্তন

ঘরের সৌন্দর্য অনেকটাই ঘরের পর্দার নির্ভরশীল। তাই পুজোর আগে অবশ্যই পর্দা বদলে ফেলুন। সম্ভব হলে একেবারেই ধবধবে সাদা জর্জেটের বা নেটের পর্দা লাগান। সাদা প্রশান্তি ও স্নিগ্ধতার প্রতীক। তাছাড়া সম্ভব হলে সুতি কাপড়ে লাল, মেরুন, কমলা, হলুদের ব্লক করা পর্দাও লাগিয়ে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে চোখে স্বস্তি ও শীতলতা দুটিই পাবেন।

পুজোয় ঘরের সাজেও আনুন পরিবর্তন

ঘরের প্রতিটি কোণে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন আপনি। শোবার ঘরে উজ্জ্বল রঙ্গের ব্লক করা বা অ্যাপ্লিকের বেডশিট বিছিয়ে দিতে পারেন। ট্র্যাডিশনাল সাজের ষোলকলা পূর্ণ করতে চারপাশে নেটের লেস কুঁচি দিয়ে বসানো বেডশিট-বালিশের কাভারও ব্যবহার করতে পারেন। ড্রইংরুমে ডিভান থাকলে তাঁর কুশন কভারগুলো বদলে ফেলুন। বদলে ফেলুন সোফার কভার। ডাইনিং টেবিল আর ডিভানের জায়গাটা অদল-বদল করে দেখতে পারেন।ঘরের কোণে ছোট টুলে বা পাশের করিডরে পাথর, কাঁসা, পিতল বা মাটির মূর্তি রাখতে পারেন অনায়াসে। এতে পূজার সময়ে ঘরে মন্দিরের একটি আবহও তৈরি হয়।

পুজোয় ঘরের সাজেও আনুন পরিবর্তন

দুর্গা পূজার আরও একটি অনুষঙ্গ হলো আলোকসজ্জা। ঘরে উৎসবের আলো জ্বালাতে মাটি বা কাঁসার প্রদীপ কিংবা হাল আমলের ফেয়ারি লাইটসের শরণাপন্ন হতে পারেন। সেন্টার টেবিলের নিচে, কলামের নিচে, বসার ঘরের সেন্টার টেবিলের নিচে মাটির অথবা কাঁসার থালার ওপর গোল করে প্রদীপ সাজিয়ে রেখে দিতে পারেন।

পুজোয় ঘরের সাজেও আনুন পরিবর্তন

রান্নাঘরের তেল চিটচিটে ভাব দূর করতে কোনো কিছু ভাজার পর গ্যাসের চুলার একটু দূরে এক কাপ হোয়াইট ভিনেগার রাখুন। গন্ধ ও তেল চিটচিটে ভাব অনেকটাই কমে যাবে রান্নার পর। রান্নাঘরের মেঝে টাইলসের হলে ময়লা পরিচ্ছন্ন করার জন্য লিকুইড ক্লিনার ব্যবহার করে দশ মিনিট পর ভেজা কাপড় দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করুন, দেখবেন কেমন ঝকঝক করছে। রান্নাঘরের সিঙ্কের পাইপটি জমাট হয়ে গেলে গরম পানি ঢেলে দিন। আর পুরো সিঙ্কটিকে ঝকঝকে তকতকে করতে লিকুইড ক্লিনার ও লেবুর টুকরো ব্যবহার করুন।

পুজোয় ঘরের সাজেও আনুন পরিবর্তন

বাড়ির আসবাবপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট, বড় বা মাঝারি আকারের ফুলদানি ব্যবহার করা যেতে পারে। নানা রঙের ফুল হলে একরঙা ফুলদানি ব্যবহার করুন। পুজোয় সদর দরজা থেকে ভিতরের ঘর পর্যন্ত ফুল দিয়ে সাজান। চাইলে বাড়ির সদর দরজার সামনে লাল, হলুদ কিংবা উজ্জ্বল রঙের ফুলের ঝালরও লাগাতে পারেন।