সুস্থ ও সুন্দর ত্বক
আমরা প্রায় সবাই এমন কাউকে না কাউকে চিনি যার ত্বকের দিকে তাকালে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। জানতে মন চায় যে, সে এমন কি করে যে তার ত্বক এত সুন্দর। কোনো দামি ক্রিম মাখে? নাকি নিত্য ঢুঁ মারে কোনো ভালো পার্লারে। আসলে ব্যাপারটা খুব সহজ।
সে নিশ্চয়ই একটা ভালো রুটিন ও কিছু নিয়ম মেনে চলে। আমাদের অনেকেরই ধারণা রূপচর্চা মানেই হলো এটা মাখা ওটা মাখা কিন্তু একটি ভালো রুটিন অনুসরণ করাটাও যে জরুরি সে-ব্যাপারে আমরা তেমন ভ্রূক্ষেপ করি না। অথচ, কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনার ত্বকও হয়ে উঠবে লাবণ্যময়। আসুন জেনে নিই এমনই কিছু টিপস।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান-
আমাদের শরীরের তিন ভাগের দুই ভাগই পানি। শরীর ও ত্বক সুস্থ রাখতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানের বিকল্প নেই। আপনি মসৃণ ত্বক চান অথচ পর্যাপ্ত পানি পান করেন না? হয়তো আপনি আপনার টাকা ও শ্রম ভুল জায়গায় ব্যয় করছেন।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার ব্যবহার
ক্লিনজার শুধু ব্যবহার করলেই হবে না। সেটা ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। ডা. আভা শা€^ানের মতে তেলতেলে ত্বকের জন্য স্যালিসাইলিক জেল বা বেঞ্জল পারক্সাইড ভালো কাজ করে। শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েসচারাইজিং গ্লাইকোলিক বা মিল্কি ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। নিজে না বুঝলে বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস-
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যেমন শরীরের জন্য ভালো তেমনি ত্বকের জন্যও। খেয়াল করার বিষয় হলো, ত্বক কিন্তু শরীরের বাইরে না। আমরা অনেকেই সুস্থ ত্বক চাই বিশেষ করে চেহারার ত্বক; কিন্তু শরীরের প্রতি অতটা যতœশীল না! এটা পরিহার করে ভালো খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। চর্বি পরিহার করে বেশি বেশি সবুজ সবজি রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। একটা ব্যালেন্সেড খাদ্যতালিকা তৈরি করে তা অনুসরণ করতে হবে।
ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখা
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের উপযুক্ত সময় হলে গোসলের পর আর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে। অতি মাত্রার সুগন্ধিযুক্ত লোশন পরিহার করা উচিত। এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত যেটা প্রতিদিন ব্যবহারের উপযোগী এবং ব্যবহারে আপনার ত্বকে কোনো অস্বস্তির সৃষ্টি করে না।