Skip to content

প্রথমবারের মতো মিললো গর্ভবতী নারীর মমি 

প্রথমবারের মতো মিললো গর্ভবতী নারীর মমি 

'মমি' শব্দটির সাথে মোটামুটি আমরা সকলেই বেশ পরিচিত। সহজ ভাষায় হলতে গেলে মমি হল মৃতদেহ সংরক্ষণ করার বিশেষ এক পদ্ধতি। অধিকাংশ গবেষকের মতে, মমির উৎপত্তিস্থল হল প্রাচীন মিশর। মিশরীয়রা শুধু মানুষ নয়, তাদের প্রিয় প্রাণী যেমন- কুকুর, বিড়াল এদের মৃতদেহকেও মমি বানিয়ে রাখতো। তবে এবার প্রথমবারের মতো খোঁজ মিললো কোন গর্ভবতী নারীর মমির। 

 

প্রথমবারের মতো মিললো গর্ভবতী নারীর মমি 

আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে আঠারো শতকের গোঁড়ার দিকে মিশর থেকে পোল্যান্ডে আনা হয় একটি প্রাচীন মমি। দীর্ঘদিন যাবত মমিটি সংরক্ষিত ছিল  পোলিশ জাতীয় জাদুঘরে। এর কফিনের গায়ে লেখা ছিল মমিটি একটি পুরুষ পুরোহিতের।  কিন্তু প্রায় ২০০ বছর পর বিজ্ঞানীরা পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে, দিলো অবাক করা তথ্য। 

 

প্রথমবারের মতো মিললো গর্ভবতী নারীর মমি 

বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি কোন পুরুষের মমি নয় বরং এটি একজন গর্ভবতী নারীর মমি। গত ২৯ এপ্রিল  বৃহস্পতিবার প্রত্নতত্ত্ববিদেরা জানান , সন্তানসম্ভবা নারীর মমির সন্ধান পাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। বর্তমানে গবেষকেরা  সন্তানসম্ভবা ওই নারীর মৃত্যু ও মমি করার সময় পেটে সন্তান রেখে দেওয়ার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন। 

 

প্রথমবারের মতো মিললো গর্ভবতী নারীর মমি 

প্রত্নতত্ত্ববিদ মারজেনা ওজারেক-জিলকে দীর্ঘদিন পর মমিটির রহস্য উন্মোচন প্রসঙ্গে জানান, মমিটির বিষয়ে গবেষকদের আগ্রহ তৈরি হয় এর শারীরিক গঠন, ছোট ছোট হাত-পা, কোঁকড়ানো লম্বা চুল দেখে। এবং ফলস্বরূপ মমিটিকে নিয়ে তারা বিভিন্ন গবেষণা চালায়। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, এটা কোন পুরুষের নয়, এক সন্তানসম্ভবা নারীর মমি। ওই নারীর বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। এবং তার গর্ভের সন্তান ছিল ২৬ থেকে ২৮ সপ্তাহের।