Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দরিদ্র হয়েও স্বপ্ন দেখা যায়! 

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ২০২০। ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ২০২০র খেতাব জিতেছেন তেলেঙ্গানার মানসা বারাণসী। তবে, আজকের গল্প এই বিজয়িনীকে নিয়ে নয়। আজকের গল্প একই প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকারী মান্য সিংকে নিয়ে। মনে প্রশ্ন জাগছে তো কেন তৃতীয় স্থান অধিকার করেও লাইম লাইটে তিনি।  কারণ তার এই প্লাটফর্মে পৌঁছনোর গল্প বাকি সকলের থেকে আলাদা। 

একজন অটোরিকশা চালকের মেয়ে মান্য সিং। ভারতের উত্তর প্রদেশের খুশিনগরে জন্ম তার। বাবার রিকশা চালিয়ে আয় করা অর্থ দিয়েই কোনোরকমে সংসার চলতো তাদের। যেখানে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই দুষ্কর। সেখান থেকে মিস ইন্ডিয়ার মতো প্লাটফর্মে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখা আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নই বটে। 

তবে স্বপ্ন সে যত উঁচুতেই থাক না কেন  নিজের প্রতি এবং নিজের স্বপ্নের প্রতি বিশ্বাস থাকলে সে স্বপ্ন ছোঁয়া যাবেই। তেমনটাই প্রমাণ করলেন মান্য সিং।  ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন প্রতিকূলতা পার করে পৌঁছেছেন এখানে। দিনের বেলা করতেন বাসন মাজার কাজ। রাতের বেলা কল সেন্টারে। গাড়িভাড়া বাঁচাতে হাঁটতেন  মাইলের পর মাইল।  

পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ থাকলেও নিয়মিত স্কুলে যাওয়া হত না। মায়ের কাছে থাকা সামান্য সোনার গয়না বন্ধক রেখে তার পরীক্ষার ফি জমা দেওয়া হয়েছিল। দিনরাত কাজ করেও এইচএস পরীক্ষায় টপার হন তিনি। স্বপ্ন দেখতেন কোন একদিন সুন্দরীর মুকুট মাথায় নেয়ার। তার এই স্বপ্নকে সত্যি করতে সর্বক্ষণ সাহস জোগান তার বাবা-মা।  তাদের উৎসাহ ও আশীর্বাদেই এই জায়গায় এসে পৌঁছান তিনি। 

কিন্তু নিজের কঠিন লড়াইয়ের কথা এক মুহূর্তেও ভুলে যাননি তিনি।  তাইতো বিচারকদের সামনেও নিজের জীবনের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন তিনি। আর মেয়েকে এই জায়গায় দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পরেন তার বাবা-মা। মান্যকে  পুরষ্কার পেতে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন তাঁরা।  যেই কান্না ছিল সুখের কান্না, মেয়ের স্বপ্ন পূরণের কান্না।  

শুধু তার বাবা-মাই নয় তার সাফল্যে আবেগে ভাসছে পুরো বিনোদন দুনিয়া। সাবেক বিশ্বসুন্দরী মানুষী চিল্লার থেকে শুরু করে বরুণ ধাওয়ানের মতো বলিউড সেলেব্রিটিরা ইতিমধ্যেই মান্যর সাফল্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। মান্যর সাফল্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মানুষী চিল্লার। সেই উচ্ছ্বসিত পোস্টে ‘লাইক’ দিয়েছেন বরুণ ধাওয়ান।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ