মাস্ক পরে ব্যায়াম করলে হতে পারে বিপদ
গত বছরের শেষের দিক থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী চলছে করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বিশ্বের ১৮৮ দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা। তবে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আগে সংক্রমণ এড়াতে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ফেস মাস্কের ব্যবহার। সে কারণেই সর্বদা ঘরের বাইরের সব রকম কাজ করতেই পরতে হচ্ছে মাস্ক। এমনকি ঘরের বাইরের ভারী কাজ কিংবা ব্যায়ামের ক্ষেত্রেও।
তবে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা আমাদের বাধ্য করছে মাস্কের সঠিক ব্যবহার নিয়ে ভাবতে। সম্প্রতি চীনে ২৬ বছর বয়সী এক তরুণ মাস্ক পরে প্রায় তিন কিলোমিটার দৌড়ানোর পর হঠাৎ করেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাকে দ্রুত উদ্ধার করেই নেয়া হয় উহান সেন্ট্রাল হাসপাতালে। সেখানে এক রকম অস্ত্রোপচার করে তাকে সুস্থ করে তোলা হয়।
আবার চীনের আরেকটি ঘটনা আরো ভয়ঙ্কর বার্তা দেয় মাস্ক পরা নিয়ে। একটি স্কুলের মাঠে মাস্ক পরা অবস্থায় দৌড়াদৌড়ি করার সময় তিন স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়।
মাস্ক পরবেন নাকি পরবেন না?
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক, এমনকি মাস্ক না পরাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ ঘোষণা করেছে অনেক দেশ। সেই সব দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশেরও নাম। তাই করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। একই পরামর্শ এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও।
তবে ঘরের বাইরে ফাঁকা স্থানে যেকোনো ভারী কাজের সময় সম্ভব হলে মাস্ক না পরার পরামর্শও দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শুধু ভারী কাজ নয়, ব্যায়াম করার সময়ও মাস্ক না পরাটাই ভালো বলে দাবি চিকিৎসকদের। তবে সেক্ষেত্রে ব্যায়ামের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা খুবই জরুরি। অর্থাৎ ঘরেই ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। আর সম্ভব না হলে বা বাইরে ব্যায়াম করতে বের হলে ফাঁকা স্থানে একা করুন এবং যথা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন। এ সময় মাস্ক
না পরাটাই ভালো।
আবার যেসব শিশুর অ্যালার্জিজনিত হাঁপানি বা জন্মগত হার্টের অসুখ বা এধরনের সমস্যা আছে, তাদের মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। তাদের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। স্বাভাবিক শ্বাস নিয়ে কষ্ট হয় এমন মাস্ক ব্যবহার না করে, সাধারণ কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করুন।