Skip to content

১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ড্রাগন’ ক্যাকটাস প্রজাতির ফল

ক্যাকটাস আমাদের সকলের পরিচিত। ক্যাকটাসের গাছ কাটায় ভর্তি ঠিক একই রকম গাছ ড্রাগন ফলের ও। ড্রাগন ফল ও ক্যাকটাস প্রজাতির একটি ফল।

 

শীতকালীন ফল গাজর, কমলালেবুর থেকেও ড্রাগন এর উপকারিতা বেশি। ড্রাগন এর উৎস মেক্সিকো তে হলেও বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এর চাষ করা হয়। ড্রাগন ফলের অপর নাম পিটিয়া ফ্রুট। স্বাস্থ্যকর উপাদানে ভরপুর ড্রাগন খেতে যেমন সুস্বাদু গুণাগুণও ভরপুর।

 

এই ফলের গাছ লাগানোর ১৮ মাসের মধ্যে গাছে ফুল ধরে এবং সেই ফুল থেকে ১ মাসের মধ্যে ছোট ছোট ফল ও হয়। ড্রাগন তিন প্রজাতির ফুল ও ফল দেয়। সাদা, লাল ও হলুদ প্রজাতির তবে লাল ফলেরই চাহিদা বেশি থাকে। এই ফল গাছ থেকে পাড়ানোর পর প্রায় ১০-১২ দিন তাজা থাকে।

 

ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালরি, ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা, বিটা-ক্যারোটিন, লাইকোপিন প্রভৃতি। বিটা-ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়, যা ত্বক, চোখ ও ইমিউনি সিস্টেম এর উন্নতি করে।

 

ড্রাগন ফলে রয়েছে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হার্টের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে রয়েছে প্রদাহ-নাশক উপাদান। ফলে হার্টের রোগের ঝুঁকি ও জয়েন্টের ব্যথা কমানো তে ড্রাগন ফল বেশ উপকারী। এছাড়া বিষণ্ণতা কাটাতেও ড্রাগন ফল বেশ কার্যকর।

 

ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকায় ড্রাগন ফল হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করে। (অস্টিওপরোসিস-এ হাড় এতোই দুর্বল হয়ে যায় যে সহজেই ভেঙে পড়ে)। হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়াম থাকে ড্রাগন ফলে হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও ড্রাগন ফল বেশ উপকারী। এছাড়া যেসব নারীর মাসিক চক্র স্থায়ী ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে, তাদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও ড্রাগন ফল বেশ কার্যকর।

 

ড্রাগন ফলে রয়েছে ক্যারোটিন নামক উপাদান, যা শরীরে থাকা টিউমারকে ধ্বংস করে। এছাড়া ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও বেশ কার্যকর। সুস্বাদু ড্রাগন ফল গর্ভবতী মায়েদের জন্যও উপকারী।

 

আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে ড্রাগন ফল বেশ কার্যকর এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীর কে সুস্থ রাখে এই ফল। এছাড়া রক্ত চলাচল বজায় রাখতে এবং চুল পড়া কমাতেও ড্রাগন ফল উপকারী।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ