মর্নিং সিকনেস দূর করুন
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই প্রচণ্ড বমিভাব অনুভব করছেন, কিংবা অনেক সময় সকালে উঠেই মাথা ঘুরে বা বমি হয়। এসব উপসর্গকে বলা হয় মর্নিং সিকনেস। গর্ভধারণের প্রথম ও দ্বিতীয় মাসে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তিনমাস পর সাধারণত ঠিক হয়ে যায়। এই মর্নিং সিকনেস থেকে সেরে উঠতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় মেনে চললেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।
অল্প অল্প করে বারবার খেতে হবে
সকালের নাস্তায় একবারে বেশি না খেয়ে অল্প করে বারবার খেতে হবে। সকালবেলা শুকনো খাবার খাওয়াই ভালো। বমি ভাব থাকলেও কিছু না কিছু খেতে হবে। না খেয়ে থাকা যাবে না।
আদা
বমিভাব দূর করতে আদা বেশ কার্যকর। পেটের ব্যথা ও গ্যাস কমায় এবং রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। বমিভাব হলে এক টুকরো আদা মুখে রাখতে পারেন। চাইলে আদা চা খেতে পারেন।
মশলাযুক্ত খাবার নয়
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, ফাস্ট ফুড এবং তৈলাক্ত খাবার বাদ দেয়াই ভালো। অল্প তেল, মশলায় রান্না পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এসময়।
কড়া গন্ধ থেকে দূরে
সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর সিগারেট কিংবা পারফিউমের কড়া গন্ধ নাকে এলে বমিভাব হতে পারে। আবার রান্নার গন্ধও অনেকের খারাপ লাগে। যে গন্ধ ভালো লাগবে না, সেগুলো এড়িয়ে চলুন। এসময় প্রকৃতির আলো, বাতাসের সংস্পর্শ ভালো লাগে। তাই সকালবেলা ঘরের জানালা, দরজা খোলা রাখুন।
লেবু ও কমলার গন্ধ
লেবু ও কমলার গন্ধ বমিভাব কমাতে সাহায্য করে এবং সতেজ অনুভূতি আনে। তাই এক টুকরো লেবু বা কমলার টুকরো নাকের কাছে ধরে রাখতে পারেন কিছুক্ষণ। বমিভাব কমে যাবে।
ভিটামিনযুক্ত খাবার খান
সকালবেলা পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সকালবেলা খেতে হবে ডিম, সবজি, রুটি ও ফলের জুস। বেশি ঝাল দিয়ে রান্না তরকারি গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। আর আয়রনজাতীয় খাবার রাখতে হবে দুপুরের জন্য।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। রাতে অন্তত ৭/৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। দিনেও একঘণ্টা বিশ্রাম নিতে হবে। গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম মা ও শিশুর জন্য ভালো।
এর পাশাপাশি কিছু বিষয় মনে রাখা ভালো। যেমন যেসব খাবার দেখলে বা খেলে বমিভাব হয় সেগুলো এগিয়ে চলুন, মর্নিং সিকনেস কাটাতে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে পারেন এবং অতিরিক্ত বমি হলে কিংবা পানিশূন্যতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
অধিকাংশ নারী গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেসে ভোগেন। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মর্নিং সিকনেস কাটাতে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়ম মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।