কবির রক্তাক্ত মুখ

কবির রক্তাক্ত মুখ মাটির কাছে প্রশ্ন রেখে যায়
আমি কি তোমার সন্তান নই
ভালোবেসে লাগিয়েছি একদিন কত চারা
আকাশের তারা নামিয়ে এনে জোনাকির দলে
ফুল আর পাখিরা বাতাসের চলাচলে
উদয়-অস্ত, ভালো থাকবে বলে
আমার সম্মুখ পথে কেন তবে এতো রক্তের ধারা।
কবিতার শব্দেরা, এতো যে শিখেছে বিনয়
ভালবাসা স্রোতের মতো মরিয়া রাত্রি-ঘন
তাদের কি তবে নেই কোনো পরিচয়
আমার কি তবে নেই কোনো পরিচয়
উত্তরের সম্মুখীন হতে হতে, দীর্ঘশ্বাস
চারিদিকে শুধু প্রশ্নের পর প্রশ্ন চিহ্ন গজায়
কবির রক্তাক্ত মুখ মানুষের কাছে সকাতরে দাবি রেখে যায়
এটুকু ভালো থাকার, এটুকু ভালো রাখার
প্রতিটি শব্দের ঘরে রঙিন বর্ণ পাখার
লাবণ্যে, মাধুর্যে আর বিশ্বাসটুকু যেন শুধু থাকে।
আমাকে যারা হত্যা করতে এলো
আমাকে যারা হত্যা করে গেলো
কালো রাত্রি ঘেরা ভোর, যেন না আসে তাদের ডাকে
যেমন জেগে থাকি আমি, জেগে থাকে আমার কবিতারা
নিবিড় বন্ধনে, ঘেরাটোপে, স্পর্শে বাঁচে অন্ধেরা
এদেশের প্রতিটি শিরায় শিরায়, এ মাটির, নদীর প্রতিটি বাঁকে বাঁকে
(কবি হুমায়ুন আজাদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে )