শ্রী মধুসূদন
কপোতাক্ষের অক্ষির ভেতর এখনো একটা গোলক আছে
সেই গোলকের ভেতর বিশ্বসংসারে ধরাধামে খেলা করে শ্রী মধুসূদন
একটা তীব্র বিষাদের সাঁকো জীবন আর মৃত্যুর হাত ধরে
নিয়মিত ভাঙে আর গড়ে।
গ্লাসে গ্লাস ঠুকে, বেজে ওঠা সাহেবী মদিরার উল্লাস
কাব্যের হরফে গিয়ে কালোজলে জ্যান্ত ডুবে ডুবে মরে, শুয়ে পড়ে লাশ
কপোতাক্ষের স্রোতের ভেতর এখনো একটা গতিহীন ধাঁধাঁ আছে
কারো কারো স্থির সময়,ফড়িংয়ের পাখনার মতো, কাঁপে, বাঁচে
মহাকালের বুকে এঁকে দিয়ে যায় তীব্র দহন।
কেতন শুধু গতিমুখী হলে হয় না, স্থিতিমুখীও হতে হয়
সৃষ্টির ভিতের ওপর নতুন সৃষ্টি,নতুন জীবন
ভাঙাগড়া, আত্ম-ধ্বংস করে ধেয়ে আসা লয়
কপোতাক্ষের জলে, এখনো আলোছায়া খেলে
হামাগুড়ি দিয়ে মায়ের বুকে, যেমন, ঢেউয়ের অনন্য রতন।