মেঘেরাও কাঁদতে জানে
সময়ের অদৃশ্য ডানায় ফিরে আসে
সজল সঘন-বরষা
মেঘেরাও অঝরে এখনও কাঁদতে জানে
মাঠ-ঘাট, নদী চোখের জলে ভাসিয়ে দিতে পারে
কেঁদেকেঁদে কষ্টের সাত রঙা রঙধনু আনে।
আষাঢ়ের বৃষ্টিতে ভেজা কদমের চোখে এখন
সীতাকুণ্ডের কন্টেইনারের আগুনের তৃষ্ণা,
দুরন্ত বলাকা পাখায় উড়ে গেছে বৈকালিন ভালোবাসা।
দুপুরে মাথার ওপর চিলের তীব্র ডাক শুনতে পায়,
বরষায় অবসরে প্রিয়তির নকশী বুনা চোখমোছা রুমাল খুঁজে বেড়ায়।
প্রিয়তির অপেক্ষায় সন্ধ্যাগুলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়
কোথাও আলো নেই, কেউ নেই কোথাও—
একটু আলো ধার দেওয়ার,
বাঁচার অধিকারে নেই বুক ভরে নিঃশ্বাস নিবার,
নির্ভরতার কক্ষপথের দূরত্ব ছেড়ে কৌণিক যাত্রায়
ডুবে গেছে চাঁদ কালো অন্ধকারের সীমায়।