পোশাক ঘিরে আবারও নারীকে হেনস্তা: একটি প্রশ্ন
নারীর পোশাক নিয়ে বিতর্ক আজ থেকে নয়। প্রতিনিয়ত সমাজে পোশাককে ঘিরে নারীকে বাক্যবাণে জর্জরিত করা হয়। নারীকে মানসিকভাবে বিধস্ত করা হয়। পথে-ঘাটে কোথাও নারী স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না। কিন্তু যে বিষয় এ সমাজের কল্যাণ-অকলাণে একাবারেই গৌণ বিষয়। পোশাক কে কী ধরনের পরবে, এটা ব্যক্তির স্বাচ্ছন্দ্যের ওপর নির্ভর করে। তার রুচি ও চলাচলের সুবিধার ওপরও নির্ভরশীল। ফলে মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার শিক্ষাটা এ সমাজে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
মানুষ হিসেবে দেখলে নারীকে এ সমাজ পোশাক দিয়ে বাধা সৃষ্টি করতো না। নারী তার স্বাধীন রুচি, স্বাধীন জীবনযাপন করবে এটাই স্বাভাবিক। যেখানে পুরুষের পোশাক, চলাচল নিয়ে নারীর কোনো মাথাব্যথা নেই, সেখানে কিছু বিকৃত মানুষ প্রতিনিয়ত নারীকে শকুনের মতো খুবলে খাচ্ছে! সম্প্রতি আবারও পোশাককে ঘিরে নারীকে হেনস্তা করা হয়েছে। যমুনা টেলিভিশনে প্রকাশিত এক খবরে দেখা যায়, এক নারীর হেনস্তাকারীকে। যিনি বয়স্ক একজন পুরুষ হয়েও পোশাককে ঘিরে নারীর উদ্দেশে অশালীন-বিকৃত মন্তব্য করেছেন। এই ঘটনায় বাকি পুরষরা ওই নারীকেই কটুকথা বলছেন। তাহলে কি ওই নারী তার নিজের রুচি, পছন্দমতো পোশাক পরতে পারবেন না? দেশের কোন আইনে লেখা আছে যে একজন মানুষ তার স্বাচ্ছন্দ্যমতো জীবনযাপন করতে পারবেন না?
সংবাদটি ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে কমেন্ট সেকশনে অরুচিকর মন্তব্য। সবাই নারীকে গালি পর্যন্ত দিচ্ছে! নারীর প্রতি এই আক্রোশ আজও কেন, তাই বিস্ময়কর। যখন সীতা-রামের যুগ, দ্রৌপদী-পঞ্চপাণ্ডবের যুগ ছিল, সে-সময়ও নারীকে রক্ষা করা যায়নি! এর কারণ হয়তো মানসিক বিকৃতি। নারীকে সস্তা পণ্য হিসেবে দেখার বাসনা!
কিন্তু নারীর প্রতি এই ধরনের আচরণ কত দিন চলবে?