Skip to content

২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বুধবার | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমাদের সংবিধানে কী আছে—কতটুকু জানি আমরা?

যুদ্ধ ও মন্দার যৌথ আঘাতে এই মুহূর্তে সারা বিশ্ব বেশ জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এই ধাক্কা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারেনি। স্বাধীনতার প্রায় ৫১ বছর অতিবাহিত হয়েছে। এই সময়ে দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে যথেষ্ট এগিয়েছে। একটি দেশের সার্বভৌমত্বের মূল কাঠামো হলো তার সংবিধান। রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পর্কের মাত্রা নির্ধারণ করে দেয় এই সংবিধানই। অন্য কথায়, রাষ্ট্র যদি হয় আধার, তবে জনগণ হলো এর আধেয়।

ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ভারতের প্রায় আড়াই বছর লেগেছিল সংবিধান প্রণয়ন করতে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের লেগেছিল প্রায় ৯ বছর, তা-ও সেটি ঠিকমতো কার্যকর হতে পারেনি সামরিক শক্তির দ্বারা ক্রমাগত বাধার কারণে। অপর পক্ষে, ১৯৭১ সালের শেষার্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর মাত্র ১১ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়। এ বছরের গত ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের সংবিধানের ৫০ বছর উদ্যাপন করা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সত্যি বলতে, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কোনো শিক্ষার্থী যদি প্রশ্ন করেন—একটি দেশের সংবিধান কেন দরকার? অথবা সংবিধান কথাটার মানে কী? কিংবা আরো কঠিন প্রশ্ন—বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতিগুলো কী? এসব প্রশ্নের উত্তর কি চট করে দিতে পারব? নিশ্চয়ই পারব না। আসলে আমি নিজেই পারতাম না, যদি না গত ৫ নভেম্বরে বাংলার পাঠশালা ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে সংবিধানের ওপর আমাকে কিছু বলতে বলার জন্য অনুরোধ করা না হতো।

আমরা সবাই জানি, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটা দিকনির্দেশনা কিংবা কিছু নিয়মের প্রয়োজন পড়ে। সেগুলোই সংবিধানে থাকে। সংবিধান হলো একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। যেমন—যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে বলা হয়েছে যে জীবন, স্বাধীনতা ও সম্পদের অধিকার থেকে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না, যদি কোনো আইন দ্বারা এর ব্যত্যয় ঘটানোর প্রয়োজন না পড়ে। এটাকে এতটাই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সব অঙ্গরাজ্যের জন্য এটাকে বাধ্যতামূলকভাবে রক্ষা করতে ‘ডিউ প্রসেস অব ল’ নীতি হিসেবে এটি ঘোষিত হয়েছে। অর্থাৎ, যে আইনই হোক না কেন, যদি সুপ্রিম কোর্ট মনে করে যে, ঐ আইন ব্যক্তির জীবন ও স্বাধীনতা এবং তার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি হচ্ছে, তবে যে কোনো অঙ্গরাজ্য কর্তৃক প্রণীতই হোক না কেন, সেরকম আইন সুপ্রিম কোর্ট অবৈধ বলে ঘোষণা করতে পারবে। এভাবেই যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিয়ত মানবাধিকারের সুরক্ষা ও বিকাশের স্বার্থে নিজেকে ক্রমাগত পরিমার্জিত ও সংশোধিত করে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের ভিকাশপিডিয়ার মতে, ভারতের সংবিধান হলো বিশ্বের দীর্ঘতম ও জটিলতম সংবিধান। এসব তুলনামূলক বিষয় পর্যালোচনা করে আমাদের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যগুলো স্পষ্টভাবে বুঝে নিতে চাইলাম।

আমাদের সংবিধানটি ৫০ বছর আগে যুগপত্ভাবে ইংরেজিতে ও বাংলা ভাষায় প্রণীত হয়েছিল। সংবিধানের বাংলা ভাষ্যটির প্রধান দায়িত্বে ছিলেন প্রয়াত শ্রদ্ধেয় জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। বাহাত্তর সালের গোড়ার দিকে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি তাকে এ কাজের গুরুদায়িত্ব দিলে তিনি সভাপতিকে একটি বাংলা ভাষ্য তৈরির দল গঠনের প্রস্তাব দেন এবং সভাপতি প্রত্যুত্তরে আনন্দচিত্তে সম্মতি দেন। এভাবে চট্টগ্রাম থেকে ছুটি নিয়ে ঢাকায় এসে রাত জেগে ক্রমাগত কাজ করে মাত্র ৯ মাসে আমাদের সংবিধান রচনা ও প্রণয়নের মহান কর্মযজ্ঞটি সফলভাবে সমাপ্ত করেন তিনি। এখানে উল্লেখ্য যে, ‘১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশবলে দেশের সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান থেকে যারা জাতীয় পরিষদে এবং প্রাদেশিক পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাদের নিয়ে বাংলাদেশ গণপরিষদ গঠিত হয়।’ (পৃ. ১০৯, বাংলাদেশের সংবিধান : নানা প্রসঙ্গ, ২০২০) কিন্তু সেটিও ভেস্তে যায় ভুট্টো সাহেব ও তার সঙ্গীদের ষড়যন্ত্রের কারণে।

রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটা দিকনির্দেশনা কিংবা কিছু নিয়মের প্রয়োজন পড়ে। সেগুলোই সংবিধানে থাকে। সংবিধান হলো একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। যেমন—যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে বলা হয়েছে যে জীবন, স্বাধীনতা ও সম্পদের অধিকার থেকে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না, যদি কোনো আইন দ্বারা এর ব্যত্যয় ঘটানোর প্রয়োজন না পড়ে

মুক্তিযুদ্ধের চার মাস পর ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদ অধিবেশনের প্রথম দিনেই কয়েকটি কমিটি গঠিত হয়। তার মধ্যে একটি ছিল বাংলাদেশের জন্য সংবিধানের ‘খসড়া প্রণয়ন কমিটি’, যেখানে ৩৪ জন গণ্যমান্য সদস্য ছিলেন। এই কমিটির সদস্যদের মধ্যে ৩৩ জনই ছিলেন আওয়ামী লীগ দলীয় গণপরিষদের সদস্য, ‘একজন মহিলা রাজিয়া বানু এবং অন্যতম ন্যাপ (মোজাফফর) দলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।’ (পৃ. ১১০)। ১৯৭২ সালের সংবিধানটি প্রকৃত অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান হিসেবে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। এই সংবিধানের প্রস্তাবনায় সংবিধানের উদ্দেশ্যাবলি ও মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানের মূলনীতিসমূহ হচ্ছে—(১) জাতীয়তাবাদ; (২) সমাজতন্ত্র; (৩) গণতন্ত্র; (৪) ধর্মনিরপেক্ষতা। প্রস্তাবনায় আরো বলা আছে, এই রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য। এছাড়া বৃহত্তর শ্রমজীবী মানুষের জন্য একটি মানসম্মত জীবনযাত্রার সুযোগ দেওয়ার অঙ্গীকার আছে। সংবিধানে বিলের ওপর সাধারণ আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর আলোচনার দু-একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরলাম। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, শাসনতন্ত্র বা সংবিধান ছাড়া কোনো দেশের অর্থ হলো মাঝিবিহীন নৌকা। শাসনতন্ত্রে মানুষের অধিকারের সঙ্গে সঙ্গে তার কর্তব্যও থাকবে।

এখানেই আমার প্রশ্ন। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাপ্রাপ্তি, একটি সংবিধান প্রণয়ন এবং তারই আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা। বঙ্গবন্ধু সমাজতন্ত্রের ওপর জোর দিয়েছিলেন। সেখানে শোষণহীন সমাজ থাকবে। কিন্তু আজ ৫০ বছর পর মুক্তবাজার অর্থনীতির বিশ্বে সমাজতন্ত্র বা শোষণহীনের সংজ্ঞা কারো জানার কথা নয়। আজকের বাংলাদেশে বেশির ভাগ শিক্ষিত নাগরিকও জানেন না বা জানতে ইচ্ছুক নন অথবা ভুলে গিয়েছেন—কোন চারটি স্তম্ভের ওপর তার মাতৃভূমি দাঁড়িয়ে আছে।

সংবিধানের ভাষা সাধারণ মানুষের কাছে জটিল ও কঠিন মনে হবে। অনেকেই এজন্য বলেন, এর ভাষা আরো মনোগ্রাহী হলে ভালো হতো। এতে সংবিধানের ধারা সাধারণ মানুষ পড়তে আগ্রহ বোধ করত এবং জাতির ইতিবাচক রূপান্তরে কাজ করত। সংবিধান তো সাহিত্যের মতো ব্যাপক পাঠ্য নয়, তবে আপাতত কাঠিন্যে বাধা অতিক্রম করে মৌলিক অংশগুলো বোঝার জন্য সংবিধান বারবার পড়তে হয়।

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হচ্ছে, যখন ১৯৯৬-২০০১-এ সংসদ সদস্য ছিলাম, ‘সংবিধান’-এর বইটি আমার কাছে দুরূহ কঠিন মনে হতো। সে সময় একজন জুনিয়র অ্যাডভোকেট নিয়োগ দিয়েছিলাম সংবিধান, সংসদ ও আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার পাঠ নেওয়ার জন্য। আজ পরিণত বয়সে বাংলার পাঠশালার আহমেদ জাভেদ সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের সংবিধান :নানা প্রসঙ্গ’ গ্রন্থটি আমার দৃষ্টি ও মননকে অনেক অনেক প্রসারিত করেছে। তাই এই ছোট্ট লেখাটি লিখতে উদ্বুদ্ধ হলাম এবং সাহস করে লিখে ফেললাম। ভুলত্রুটি মার্জনীয়। এখানে আরো একটি প্রবন্ধে একজন বিজ্ঞ আইনবিদ লিখেছেন, যা পড়ে ঠোঁটের কোনায় হাসিটি ধরে রাখতে পারলাম না। উনি লিখেছেন, আমরা বোধহয় ভুলেই গেছি যে, সংবিধান নামক একটা গ্রন্থ আছে। অন্তত সরকারের নেতাগোছের লোকজন গ্রন্থটিতে কী লেখা আছে, তা বোধহয় বহু বছর পড়েও দেখেননি।

ইন্টারেস্টিং কিছু পয়েন্ট চোখে পড়ল শ্রদ্ধেয় আইনবিদ ও উপমহাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলামের লেখা পড়ে। এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, ‘১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান প্রণয়ন হলো, কিন্তু শাসনব্যবস্থাটি আয়ত্তের মধ্যে আনতে পারা গেল না। ফলে নানা রকম গোলযোগ সৃষ্টি হলো। অন্যদিকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। সেটিকে ঠেকানোর জন্য আওয়ামী লীগ সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনী করল। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র। গণতন্ত্রকে সরিয়ে রাষ্ট্রপতির শাসিতব্যবস্থা নিয়ে আসা হলো। এটি এমন একটি ব্যবস্থা হলো, যেখানে রাষ্ট্রপতিকে সরানো খুব কঠিন হয়ে গেল। এতে করে সংবিধানের মূল কাঠামোটি বদলে গেল।’ (পৃ. ৩৮-৩৯, বাংলাদেশের সংবিধান: নানা প্রসঙ্গ, ২০২০)

আইনজ্ঞ মাহমুদুল ইসলাম যা বলেছেন, তার সারবত্তা হলো, ‘যে আওয়ামী লীগ বছরের পর বছর সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে এসেছে, নানা ধরনের অবিচার-নিপীড়ন সয়েছে, সেই আওয়ামী লীগই সংসদীয় গণতন্ত্র থেকে সরে এলো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর যারা দেশ শাসন করলেন, তারা চতুর্থ সংশোধনীর সুবিধা নিলেন আর সব দোষ চাপিয়ে দিলেন আওয়ামী লীগের ওপর। অর্থাত্ আওয়ামী লীগের কাঁধে সব দায়দায়িত্ব চাপিয়েছে; কিন্তু সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছে অন্য সবাই। পরবর্তীকালে যারাই ক্ষমতায় এসেছেন, তারাই এর সুবিধা নিয়েছেন। প্রথমত খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এলেন। তারপর তাকে সরিয়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করলেন। তারা এমন একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করলেন, যেখানে গণমাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। কার্যত কী হচ্ছে বলা যাচ্ছে না। জিয়াউর রহমানও ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন। কিন্তু সে সময় সংবিধান বাতিল হয়নি। সংবিধান কিছুটা খর্ব করা হয়েছিল। সেখানে সংবিধানটি ছিল সামরিক শাসনের অধীনে, যেটি আইনত হতে পারে না। কিন্তু তত্কালীন সুপ্রিম কোর্ট সেটিকে এক্সট্রা-কন্সটিটিউশনাল অথরিটি বলেছেন। তার মানে, সংবিধানের ওপরে মার্শাল ল। তখন যারা সুপ্রিম কোর্টে ছিলেন, তারা সবগুলো সামরিক শাসনকে বৈধতা দিলেন।…বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী হাইকোর্ট ডিভিশনে একটা রায় দিলেন। তিনি বললেন যে, সামরিক শাসন দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া যায় না। কিন্তু রায়টি টেকেনি। সুপ্রিম কোর্টে এসে রায়টি বাতিল হয়।’ (পৃ. ৩৯, বাংলাদেশের সংবিধান: নানা প্রসঙ্গ, ২০২০)। তারপর এলো সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী। মানে সামরিক শাসনের অমুক তারিখ থেকে এত তারিখ পর্যন্ত এগুলো সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।

আমরা দেখতে পাচ্ছি, গণতন্ত্রের রূপ বদলে যাচ্ছে প্রয়োজনে। ধ্রুপদি গণতন্ত্র অর্থে যা বোঝানো হতো, তা আর নেই। আমাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়েছিল গণতন্ত্র সুষ্ঠুভাবে কাজ করার স্বার্থে—ক্ষমতার পালাবদল, বিশেষ করে নির্বাচনে যেন সত্যিকারভাবে জনমতের প্রতিফলন ঘটে। কিন্তু যদি নির্বাচন নিরপেক্ষ না হয়, তবে জনগণের মতামত তো প্রতিফলিত হলো না। তাহলে এটি কীসের গণতন্ত্র? আমাদের সংবিধানে মূল কথাই হচ্ছে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার। কিন্তু নির্বাচনে যদি কারচুপি হয়, তাহলে জনগণ তার সত্যিকারের প্রতিনিধি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলো। তাহলে জনগণ কী পেল? হায় সংবিধান! হায় রে গণতন্ত্র!

লেখক: সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যা

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ