সাজুন নিজের জন্য
কারো জন্য নিজেকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা আর আয়নার সামনে বসে নিজের জন্য সাজলে আত্মবিশ্বাস দৃঢ় হয় বলে মনে করেন মনোবিজ্ঞানীরা। হতে পারে তা সুন্দর একটা জামা পড়ে পরিপাটি ভাবে সাজলে এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করে। নিজের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়।
আমাদের দেশে বেশির ভাগ নারীর ঘর সংসার, অফিস, ছেলে মেয়ের দিকে খেয়াল রাখতে রাখতে নিজের জন্য আর সময় থাকে না। অন্যের জন্য এটা সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কখনো নিজের জন্য একটু সময় বের করে একটা শাড়ি পরে চোখে কাজল দিয়ে ঠোঁটে লিপস্টিক দেবার সময় হয় না।
দেখা যায়, বেশির ভাগ সময়ই অন্যকে খুশি রাখার আয়োজনে ব্যস্ত থাকি আমরা। কিন্তু কখনো মনে হয়েছে কি, এই ব্যস্ততার মধ্যে একটু সময় রাখি নিজের জন্য? নিজেকে সাজিয়ে তুলি মনের মতো করে। নিজেকে নিজের মতো করে ফুটিয়ে তোলা হয়নি অনেক দিন। দামি পোশাক আর প্রসাধনীতে সেজে নিয়ম মেনে হয়তো দাওয়াতে উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু সেখানে হয়তো আমার আমিত্বটাই ছিল অনুপস্থিত। এখানে বলা হচ্ছে, পরিপাটি আর সুন্দর থাকার কথা, যা আপনার আমিত্বকে ফুটিয়ে তুলবে, যেমনটা চায় আপনার মন।
বিষণ্ণতা কাটাতে সাজ খুব ভালো একটা থেরাপি বলা যেতে পারে। নিজেকে যেদিন দেখতে ভালো লাগে, সেদিন একধরনের ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয় মনের ভেতর, যা আমাদের ভেতর থেকে ভালো থাকতে সাহায্য করে।
সাজলেই যে কোন অনুষ্ঠানে বা বিয়েতে কিংবা পার্টিতে যেতে হবে এমনটা নয়, সেজে তো ঘরের ভিতরেও ঘুরা যায়। তাই বাড়িতেও যখন ইচ্ছে হয় তখনই সাজা যায়।
সাজলে নিজেকে নতুন লাগে। নিজের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াতে হলে নিজের সৌন্দর্য ভিতর থেকে বাড়াতে হবে। হোক সেটা নতুন জামা পরে কিংবা চোখে কাজল লাগিয়ে। সাজার মধ্যে নিজের ভালো লাগা থাকে। আর মন ভালো তো সব ভালো। সব কাজই আনন্দের মধ্যে করা যায়।
সাজতে ভালোবাসতে হবে নয়তো নিজেকে পরিবর্তন করা যাবে না। সাজ যেন আপনাকে পাল্টে না দেয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমন ভাবে সাজবেন যাতে করে আপনি আরাম বোধ করছেন। যে সাজ আরাম দেয় আপনাকে সেভাবে সেজে নিজেকে উপস্থাপন করেন। মন খুশি রাখতে সামান্য কাজল দেয়াতেও মন ভালো হয়ে যায়। পছন্দের সাজে নিজেকে দেখতে ভালো লাগলে মনটাও ফুরফুরে হয়ে ওঠে।
অন্যের জন্য নয়, সাজুন নিজের জন্য। আপনি ভালো থাকলে সব কিছু ভালো থাকবে। সেইসাথে থাকবে ভালো আপনার তৈরি করা ছোট পৃথিবীটাও।