দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গা
স্কন্ধ পুরাণমতে রূ দৈত্যের পুত্র জীবকে দুর্গতিদাতা
দুর্গম নামক অসুরকে বধ করে মায়ের নাম দুর্গা
দুর্গমাসুরের দুর্গতি থেকে মুক্তি দাতা দুর্গতিনাশিনী মা,
প্রাচীন কালে রাজা সুরথ অসুরদের সাথে পরাজিত হয়ে
চলে যান বনে সেখানে মেধস মুনীর কাছে
মহামায়ার লীলা শ্রবনশেষে আরাধনায় তুষ্ট করেন মাকে
ফিরে পান রাজ্য বাসন্তী পূজাতে,
ত্রেতাযুগে স্বয়ং ভগবান রামচন্দ্র একনিষ্ঠ ভক্তিভরে
রাবণবধের জন্য অকালে মা দুর্গার পূজা করে
যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিতি লাভ করে।
কলিযুগ রাজা কংস নারায়ণ হৃদয় উজাড় করে
আধুনিক পদ্ধতিতে মা দুর্গার আরাধনা করে
রাজশাহীর তাহিরপুরে বারনই নদের পূর্ব তীরে
ষোড়শ শতাব্দীর শেষদিকে রামরামা গ্রামে দুর্গা মন্দিরে।
দেবী চামুন্ডারূপে বধ করেছেন চন্ডমুন্ড
দুর্গারূপে দুর্গমাসুর কালীরূপে পান রক্তবীজের রক্ত
মহিষাশুর বধ করে মা হলেন মহিষাশুর মর্দিনী,
যাগযজ্ঞ রহিত হয়ে পৃথিবীতে যখন অনাসৃষ্টি
দুর্গমাসুরের অমরাবতী দখল সেইক্ষণে
দেবগনের সকাতর স্তব স্তূতিতে প্রসন্ন দেবী।
মা শতাক্ষীর অশ্রু বৃষ্টিতে পূর্ণ হল ধরিত্রী,
কুমারী হচ্ছে পবিত্রতা ও শুভ্রতার মূর্ত প্রতীক
কুমারী হচ্ছে মাতৃভাবের অনন্য আরাধনা
তাই কুমারী পূজার মাধ্যমে জগজ্জননীর পূজা হয়।
দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গা হিমালয়ের কন্যা
সকল বিপদ থেকে মাগো কর মোদের রক্ষা
মোদের সবুজ সোনার বাংলা সহ সমস্ত বসুন্ধরা
মাগো তুমি দূর করে দাও যত দূঃখ জরা।