আদালতে তোলা হয়েছে রোজিনা ইসলামকে

সরকারি অফিস থেকে তথ্য চুরির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালতে তোলা হয়েছে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার পরে সিএমএম আদালতে তোলা হয়েছে তাকে।
সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাকে আদালতের উদ্দেশে শাহবাগ থানা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের একটি গাড়িতে করে তাকে আদালতে নিয়ে যান। রোজিনা ইসলামের স্বামী মনিরুল ইসলাম সূত্রে জানা যায়, তাঁকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। আদালতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে।
তবে রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই নিজাম উদ্দিন বলেন, আমরা এখনো এ সংক্রান্ত কোন কাগজ পাইনি। এর আগে গত সোমবার (১৭ মে) দিনগত রাতেই রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় অভিযোগ করছে, এই গণমাধ্যম কর্মী রাষ্ট্রীয় কিছু গোপনীয় নথি সরিয়েছেন, কিছু নথির ছবি তুলেছেন। এগুলো প্রকাশ হলে বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট হতে পারত। নথিগুলো ছিল ভ্যাকসিন ক্রয়-সংক্রান্ত।
দণ্ডবিধি ৩৯৭ এবং ৪১১ অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ১৯২৩ এর ৩/ ৫ এর ধারায় এ মামলা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। এ মামলার একমাত্র আসামি করা হয়েছে রোজিনা ইসলামকে। সোমবার দিনগত রাতে শাহবাগ থানার এডিসি হারুনুর রশিদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
গতরাতে রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় রাখা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য চুরির অভিযোগে শাহবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের পিএস এর রুমে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে সচিবালয় থেকে পুলিশি পাহারায় শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়।