আমি আমাকে খুঁজি
আমি আমাকে খুঁজি
এখানে ওখানে যেখানে সেখানে দিবারাত্রি
অস্তিত্ব সন্ধানে হয়েছি আজ ভিন্ন পথযাত্রী।
প্রেমিকার লাস্য ঠোঁটে, চোখে মণি কোঠায়
অভিমানে, অভিযোগে, লজ্জা আর ঘৃণায়।
সবুজ ঘাসের স্বচ্ছ শিশির কণার শুভ্রতায়
রূপালী পূর্ণচন্দ্রের মায়াবী আলোর ছায়ায়।
সমুদ্র তীরের রৌদ্রজ্জ্বল ক্ষুদ্র বালুর কণায়
রজনীগন্ধা গোলাপের যেথা সুগন্ধি ছড়ায়।
ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতকটির প্রথম কান্নায়
শহীদ জননীর সন্তান ত্যাগে নীরব কান্নায়।
ফুটপাতে অবুঝ বালিকা মিষ্টি হাসি মায়ায়
কাটা তারে ঝুলন্ত ফেলানীর মৃতের ছায়ায়।
আমি আমাকে খুঁজি…
পৃথিবীতে ঘটে যাওয়ার অনিষ্টক্ষেপনশীলে
রাস্তায় পরে থাকা বেওয়ারিশ লাশ মিছিলে।
নর্দমায় ফেলে দেওয়া নবজাতকের কান্নায়
ধর্ষিতা নারী-শিশুর রক্তাক্ত শরীর যন্ত্রণায়।
একাকীত্বে সঙ্গোপনে আমিত্ব চরিত্র মাঝে
কখনো অভিনয় কখনো মিথ্যুকের সাজে।
খুঁজে যাই ভিতরে জেগে থাকা হিংস্রতায়
সরলতার আভাসে বেঁচে থাকার সততায়।
আমি ক্লান্ত আমি পরিশ্রান্ত আমি পরাস্ত!
খুঁজে পাইনি আজও, হয়ে যাচ্ছে সূর্যাস্ত।
তবুও দৃঢ়তায় বলছি, ভালোই আছি বেশ
করেছি অর্পণ বিবেকের কাছে অবশেষ।
অনন্যা/এসএএস