বিনোদন জগত ছেড়ে প্রকৌশলী হওয়ার গল্প
২০১০ সাল। লাক্স তারকা হওয়ার পর অভিনেত্রী ও মডেল হিসেবে নাম লেখান রাখি মাহবুবা। রাতারাতি বনে গিয়েছিলেন উপস্থাপনা, মডেলিং আর নাটকের দুনিয়ার তারকা। কিন্তু হঠাৎ কাউকে কিছু না জানিয়ে বিদেশে পাড়ি জমান। কিন্তু কেন এভাবে একজন উঠতি তারকা হারিয়ে গিয়েছিলেন অন্তরালে?
ছেলেবেলা থেকে পরিবার ও বন্ধু মহলে ‘পড়ুয়া’ হিসেবে আলাদা নামডাক ছিল তার। স্বপ্ন দেখতেন প্রকৌশলী হওয়ার। আর স্বপ্ন পূরণের জন্যই রাখি যশ, খ্যাতি, জনপ্রিয়তার মায়া কাটিয়ে ফিরে গিয়েছিলেন ছাত্রজীবনে। ২০১৩ সালের কথা। ‘সুপারস্টার’-এর মুকুট জেতার দুই বছরের মধ্যে অভিনয় ও উপস্থাপনায় নিজের অবস্থান গড়ে তুলছিলেন। তখন ও লেভেল শেষে এ লেভেলে পড়ছিলেন। মডেলিং ও অভিনয়ের ব্যস্ততাও নেহাত কম ছিলোনা। কিন্তু পড়াশোনায় হাল ছাড়েননি কখনো। একটু একটু করে পড়াশোনা ঠিকই চালিয়ে গেছেন।
২০১৩ সালে রাখি প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক করার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েও নিজেকে চেনাতে খুব একটা সময় লাগেনি। অস্ট্রেলিয়ার পার্থের এডিথ কোয়ান ইউনিভার্সিটিতে (ইসিইউ) ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ২০১৭ সালে পুরকৌশলে স্নাতক করেছেন। স্নাতকে পড়ার সময় রাখি নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা শিক্ষার্থীর তালিকায় উঠে এসেছেন। ২০১৫-১৭ সাল পর্যন্ত পরপর তিন বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভাইস চ্যান্সেলরস টপ ১০০ স্টুডেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। বাংলাদেশে করা মডেলিংয়ের অভিজ্ঞতা সেই সময়ও ভীষণ কাজে লেগেছে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁকে হতে হয়েছে ইসিইউ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি সাময়িকীর প্রচ্ছদ কন্যা।
বে। তাই স্নাতক শেষ করে তিনি ভর্তি হন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান একাডেমি অব পারফর্মিং আর্টসে (ওয়াপা)। স্ক্রিন পারফরম্যান্স অ্যান্ড অ্যাক্টিংয়ের ওপর এক বছরের ডিপ্লোমা করেন।
তার হারিয়ে যাওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো অচিরেই হারিয়ে গেলেন একজন তারকা। কিন্তু তা হয়নি। নির্দিষ্ট বিরতি শেষে ঠিকই রাখি ফিরে এসেছেন, তবে এবার ভিন্নভাবে আরো উজ্জ্বল আলো ছড়িয়ে।