চার কবিতা
দুর্দশা
শরতে অকাল বৃষ্টিতে
নেমে আসে বান,
ডুবে গিয়ে সব স্বপ্ন
হয় খানখান।
হতাশা নামে চাষীর চোখে
নেই কোন ঘুম,
ডুবে গিয়ে মাঠের ফসল
সুখ হয় গুম।
বর্ষাকালে বৃষ্টি নেই
মাঠঘাট খাঁখাঁ,
শরতে বৃষ্টি ঢল নামে
বড় দুর্দশা।
ভুলোমন
সহসা আমি হারিয়ে যাই
বিস্মৃতির অতলে,
মাঝে মধ্যে হয় বাড়াবাড়ি
আসেনা কখনো বলে।
সম্বিৎ ফিরে হাঁকডাকে
নির্জনে ফিরে ফিরে,
একলা ঘর ডাকে আমায়
হারায় অজানা পরে।
শরতে এ অকাল বাদল
ঘনায় ঘন বরষা
এমন দিনে মন হারিয়ে
পাইনা কোন ভরসা।
হারানো সুখ
হারিয়ে যাওয়া সুখটাকে
হন্যে হয়ে খুঁজি,
কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে
ফিরবে না বুঝি?
কেমন করে মিলিয়ে গেল
বোঝাই গেল না,
পুরোনো সুখ হারিয়ে তাই
অন্তর খাঁখাঁ।
হারিয়ে যাওয়া সুখ আজ
শুধু ইতিহাস,
কষ্টে ভেসে অন্তরটা
করে হাঁসফাঁস।
পাঠশালা
শেখার কোনো অন্ত নাই
শিখতে সবে চায়,
শেখার জন্য পাঠশালার
বিকল্প যে নাই।
কিশোরকালে সকালবেলা
পাঠশালাতে যাই,
এমন মধু দিনগুলো যে
সবাই ফিরে চায়।
কৈশোরের সে পাঠশালাতে
কত শত স্মৃতি,
কিছু তার অমলিন আছে
কিছু আজ বিকৃতি।