গরমে পায়ের বিশেষ যত্ন
এখন প্রচণ্ড তাপদাহ চলছে। এই রোদে কিছুক্ষণ থাকলেই মনে হয় পুড়ে যাচ্ছে পুরো শরীর। রোদের তাপমাত্রার কারণে আমাদের ত্বকে কালো ভাব তৈরি হচ্ছে। তাই এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিতে হবে বিশেষভাবে। একইসঙ্গে পায়ের যত্নেরও প্রয়োজন। পা থেকে বের হওয়ার ঘাম ও লেগে থাকা ধুলোবালি থেকে অনেক ধরনের রোগজীবাণু আক্রমণ করতে পারে। তাই পায়ের যত্নে কোনো হেঁয়ালি নয়।
গরমের সময় পায়ের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে। নিয়মিত পা পরিষ্কার করতে হবে। নিয়ম করে সপ্তাহে একদিন পেডিকিওর করিয়ে নিলে পায়ের ত্বক পরিষ্কার থাকবে। আর রোদেপোড়া-ভাবও কমে যায়।
এই গরমে অবশ্যই পা-ঢাকা জুতা পরতে হবে। এতে পায়ে রোদের তাপ সরাসরি লাগবে না। ধুলাবালি থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে। পায়ের ত্বক পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ থাকবে। তবে এই গরমে অনেকেই পা-ঢাকা জুতা পরতে চান না। সেক্ষেত্রে বেশি এসপিএফযুক্ত সানব্লক পায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রতিদিনের পায়ের যত্ন
রোদ থেকে ঘরে ফিরে প্রথমেই পা ভালোভাবে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর মুছে হালকা ভেজা পায়েই বেশি করে ঘন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। এতে রোদ ও তাপের কারণে পা যে আর্দ্রতা হারাবে, তা আবার ফিরে পাবে। পায়ের ত্বকে যেন ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ না হয় সে জন্য নারিশিং ফিট বাম বা লোশন ব্যবহার করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে অলিভ অয়েল মেখে ঘুমাতে পারেন। সকালে ঘর থেকে বের হওয়ার ২০ মিনিট আগে বেশি মাত্রার এসপিএফযুক্ত সানব্লক লোশন মেখে নিতে হবে।
সপ্তাহে পায়ের যত্ন
সপ্তাহে একদিন পায়ে বিশেষ যত্ন নিন। সেই দিন পেডিকিউর করুন। সপ্তাহে একদিন কুসুম গরম পানিতে ভিনিগার বা লেবুর রস ও শ্যাম্পু মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে পায়ের মৃতকোষ উঠে আসবে। ত্বক নরম হবে। কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর ‘পা মাজনি’ বা ‘ঝামা’ দিয়ে পা ঘষে নিতে হবে। এতে পায়ের ময়লা ও শুষ্ক চামড়া পরিষ্কার হয়ে যাবে। এরপর পায়ে একটা ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
রোদপোড়া দাগ দূর করতে একটি ঘরোয়া প্যাক
চন্দন, মুলতানি মাটি, দুধ ও পাকাকলা চটকে মিশ্রণ তৈরি করে তা লাগালে পায়ের ত্বক কোমল হবে। রোদেপোড়া দাগ কমবে। এছাড়া নিয়মিত লেবুর রসে তুলা ভিজিয়ে পায়ে লাগানো যেতে পারে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। লেবুর রস ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। পোড়াদাগ দূর করতে এটি খুবই কার্যকর উপায়।