অরুন্ধতী রায়ের ১০ উক্তি
দ্য গড অব স্মল থিংস’ বইয়ের নামের সঙ্গে যে-নামটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সে নাম অরুন্ধতী রায়। ভারতের এই প্রখ্যাত লেখিকা সম্প্রতি ঘুরে গিয়েছিলেন ঢাকা থেকে। স্বাভাবিকভাবেই তার লেখার ভক্তদের আগ্রহ সীমাহীন তাকে ঘিরে। তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দ্য মিনিস্ট্রি অব দ্য আটমোস্ট হ্যাপিনেস’ প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে। এই উপন্যাসটিও পাঠকমনে ঝড় তোলে। অরুন্ধতী রায় শুধু একজন লেখক নন, তিনি সামাজিক অ্যাক্টিভিস্টও। বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশগত আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকেন অরুন্ধতী রায়। মানুষকে নাড়া দেওয়ার বা মানুষের ভাবা দরকার এমন সব বিষয় নিয়ে বরাবর কথা বলে এসেছেন তিনি। অনন্যার পাঠকদের জন্য থাকছে এবার ম্যান বুকার পুরস্কারজয়ী জনপ্রিয় এই কথাসাহিত্যিকের সেরা ১০টি উক্তি, যা আপনার রাজনীতি ও জীবন সম্পর্কিত ভাবনাকে সমৃদ্ধ করতে পারে।
১. কোনোকিছু উপেক্ষা করে চলা আর কোনো বিষয়ে সরব হওয়া দুটোই রাজনৈতিক।
২. অনেকেরই অভিযোগ আমি রোমান্টিক দৃষ্টিভঙ্গির, অথচ জীবনে রোমান্স হারিয়ে ফেলাদের জন্য আমার করুণাই হয়।
৩. সব সমাজেই প্রতিরোধ ও মাথা না-নোয়ানোর এমন এক সংস্কৃতি থাকা দরকার, যা দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের (পুঁজিবাদী, কমিউনিস্ট কিংবা গান্ধীবাদী যাই হোক না কেন) অনিবার্য লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়াতে পারে।
৪. বাকশক্তিহীন বলে আসলে কেউ নেই। আছে কেবল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চুপ করিয়ে রাখা কিংবা স্বেচ্ছায় না-শুনে থাকারা।
৫. স্বপ্নে আপনি সুখী হলে, কিছুই কি যায় আসে?
৬. জাতিভেদের উদ্দেশ্যই হলো মানুষে মানুষে এমন ভেদাভেদ সৃষ্টি করা, যাতে কোনোভাবেই আর মানুষের একতাবদ্ধ হবার উপায় না থাকে।
৭. শত্রুরা আপনার মনোবল ভাংতে পারে না, বন্ধুরা পারে।
৮. ‘কাউকে আঘাত করলে কী হয় জানো?’ আম্মু বলল, ‘লোককে যখন তুমি আঘাত/আহত করো, তোমার প্রতি তাদের ভালোবাসা কমতে থাকে। যত্নহীন শব্দও একই কাজ করে। এগুলো তোমার প্রতি লোকের ভালোবাসা কমিয়ে দেয়।
৯. পতাকা মানেই রঙিন একটুকরো কাপড়, যেটা সরকার প্রথমে ব্যবহার করে জনগণের চিন্তাকে ঢেকে রাখতে এবং তারপর কফিন হিসেবে মৃতদের ঢেকে রাখতে।
১০. ফ্যামিলির এই এক মুশকিল। প্যারাদায়ক ডাক্তারদের মতো তারা ঠিকই বুঝতে পারে কোথায় ব্যথা।
–সৈয়দ তাওসিফ মোনাওয়ার