Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরুজ আফতাব 

একজন নারী বাদ্যযন্ত্রেও পারদর্শী হতে পারে। কণ্ঠশিল্পী, সুরকার এবং প্রযোজক হিসেবেও নারী কাজ করতে পারে, তার এক অনন্য উদাহরণ আরুজ আফতাব। 

আরুজ আফতাব ১৯৮৫ সালের ১১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার মা-বাবা সৌদি প্রবাসী ছিলেন। তাঁর বয়স যখন ১০ বছর, তখন তিনি জন্মভূমি পাকিস্তানের লাহোরে ফিরে আসেন।

আফতাব অটোডিডাক্টে গিটার বাজাতে শিখেছিলেন এবং বিলি হলিডে, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, মারিয়া কেরি এবং বেগম আখতারের কথা শোনার সময় ধীরে ধীরে তাঁর গান গাওয়ার স্টাইল অর্জন করেন। সেই সময়ে আফতাব এমন এক দেশে বাস করতেন, যেখানে পশ্চিমা অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে এক্সেস ছিল কঠিন। সেখানে তিনিই প্রথম ২০০০-এর দশকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা প্রথম সঙ্গীতশিল্পীদের একজন। 'মেরা পেয়ার' এবং 'হালেলুজাহ'-এর উপস্থাপনা ভাইরাল হয়ে যায় এবং পাকিস্তানি ইন্ডি দৃশ্য চালু করে। 

২০০৫ সালে ১৯ বছর বয়সে আফতাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং বোস্টনের বার্কলি কলেজ অব মিউজিক থেকে মিউজিক প্রোডাকশন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড জ্যাজ কম্পোজিশনে ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর সম্পাদনা ও চলচ্চিত্র স্কোরিং শুরু করেন ২০১০ সালে। এই সময় নিউইয়র্কে চলে যান। স্নাতক হওয়ার পর থেকে, আফতাব শহরের জ্যাজ এবং 'নতুন সঙ্গীত' দৃশ্যের অংশ হয়ে সেখানেই বসবাস করছেন।

আফতাবের প্রথম অ্যালবাম ২০১৪ সালে 'বার্ড আন্ডার ওয়াটার' প্রকাশিত হয়েছিল। ফিনান্সিয়াল টাইমসের ডেভিড হোনিগম্যানের কাছ থেকে সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছে, যিনি ২০১৫ সালে অ্যালবাবটিকে পাঁচটির মধ্যে চারটি তারকা দিয়েছিলেন। 

এরপর ২০১৭ সালে তিনি 'আর্মড উইথ ফেইথ' ডকুমেন্টারিতে সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং ২০১৮ সালে এমি অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন। ২০১৮ সালের জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে বার্ড আন্ডার ওয়াটার থেকে নেওয়া 'লুলাবি' গানটি এনপিআর-এর '২১ শতকের মহিলাদের দ্বারা ২০০ সেরা গান' তালিকায় ১৫০ নম্বরে স্থান পেয়েছে। 

২০২২ সালে আফতাব গ্র‍্যামি পুরস্কারে সেরা নতুন শিল্পী ও সেরা গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স 'মহব্বত' পুরস্কার জিতেছিলেন।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ