Skip to content

১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফের চালু হলো মিসরের পুরনো ‘অ্যাভিনিউ অব স্ফিনক্সেস’

দুই মন্দিরের মধ্যে সংযোগকারী প্রাচীন একটি সড়ক আবারও চালু করেছে মিসর। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে লাক্সরে ‘অ্যাভিনিউ অব স্ফিনক্সেস’ নামের ৩ হাজার ৪০০ বছরের পুরোনো সড়কটি চালু করা হয়। দুই মন্দিরের মধ্যে সংযোগের পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতেছে মিসরীয়রা। বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে আনন্দ উদযাপন করছেন তাঁরা।

 

‘অ্যাভিনিউ অব স্ফিনক্সেস’ সড়কটি ২ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। লাক্সর ও কারনাক মন্দির প্রাঙ্গণকে যুক্ত করেছে সড়কটি। ৩ হাজার ৪০০ বছরের পুরোনো এ সড়কটি রোড অব রামস নামেও বেশ পরিচিত। মিসরের পর্যটন ও পুরাকীর্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে প্রাচীন এ সড়কপথটির সন্ধান পাওয়া যায়। সড়কপথটি পুনরুদ্ধারে কয়েক দশক ধরে খননকাজ চালানো হয়। বর্তমানে শত শত প্রাচীন স্ফিনক্স ভাস্কর্য ও মূর্তি দিয়ে এ সড়কপথটি সাজানো হয়েছে।

 

মিসরের পর্যটন ও পুরাকীর্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ এলাকাটিকে বিশ্বের ‘সবচেয়ে বড় খোলা জাদুঘর’ আখ্যা দিয়েছে। তাদের আশা, সড়কটি নতুন করে চালুর মধ্য দিয়ে লাক্সরের পর্যটন খাত সমৃদ্ধ হবে এবং এখানকার প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলো দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়বে।

 

ফারাও যুগের রথ এবং শত শত শিল্পী যে পথটি আবার ব্যবহার করতে শুরু করেন, সেটি খুঁড়ে বের করতে সময় লেগেছে কয়েক দশক। মিসরের প্রাচীন যুগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরের সংযোগ পথ ছিল এই রাজপথ। সড়কটির উদ্বোধন উপলক্ষে মিসরে বিভিন্ন আয়োজনের পাশাপাশি প্রাচীন ওপেত উৎসবও নতুন করে উদ্‌যাপন শুরু হয়েছে। একসময় প্রতিবছর রাজাদের উপস্থিতিতে এ উৎসব পালন করা হতো।

 

প্রাচীন সড়ক সচল করা উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। এসব আয়োজনের মধ্য রয়েছে—পদযাত্রা, অর্কেস্ট্রা আয়োজন এবং ওপেত উৎসবে প্রাচীন ফারাও পোশাক পরে নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশনা।

 

মিসরে চাকরি ও রাজস্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস হলো পর্যটন খাত। তবে করোনা মহামারির মধ্যে দেশটির পর্যটনশিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২০ সালে মিসর পর্যটন খাতে প্রায় চার বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় করেছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ১৩ বিলিয়ন কম।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ