Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এশিয়ার প্রথম ভাসমান থিয়েটার কাশ্মীরে!

মানুষ চিত্য বিনোদনের জন্য কতকিছুই নাহ করে থাকে। মানসিক শান্তি পাওয়ার জন্য খানিকটা সময়ে কেউ মুভি দেখে কাটায় আবার কেউ একটা গল্পের বই পরে। তবে এরেই মাঝে অনেক থিয়েটার প্রেমীরাও রয়েছে। তারা থিয়েটারে সময় কাটান অধিক। কাশ্মীর যুদ্ধ বিদ্ধস্থতার পরেও অনেক সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এবার তারা ভাসমান থিয়েটার নির্মাণ করে বিশ্বকে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

ভারতের কাশ্মীরে এশিয়ার প্রথম ভাসমান সিনেমা হল চালু হয়েছে। কাশ্মীরের ডাল লেকে লেজার শো ও স্থানীয় নৃত্যশিল্পীদের নাচের মধ্য দিয়ে এই ভাসমান থিয়েটারের উদ্বোধন করা হয়। প্রথম দিন বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ‘কাশ্মীর কি কলি’ দেখানোর মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। মূলত পর্যটকদের আকর্ষণ করতে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন এই উদ্যোগ নেয়। পর্যটকরা ডাল লেকেই বসেই সিনেমা দেখতে পারবেন।

জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য সচিব অরুণ কুমার মেহতা বলেন, ‘আগে থেকেই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শ্রীনগরের এই ডাল লেক। পর্যটকরা কাশ্মীরে ঘুরতে এলে অবশ্যই ডাল লেকের শিকারা ভ্রমণ করেন। তাই এই ভ্রমণকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, এর ফলে কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প উপকৃত হবে।’

এদিন শাম্মি কাপুর ও শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত ‘কাশ্মীর কি কলি’ সিনেমা দেখানো হয়, যার বেশিরভাগ শুটিং কাশ্মীরে হয়েছিল। ডাল লেকের নেহরু পার্কে শুটিং হওয়া এই ছবির ‘দিওয়ানা হুয়া বাদল’ গানটিও দর্শকদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। একসময় সিনেমার শুটিং থেকে শুরু করে সবকিছুতে কাশ্মীর ছিল বলিউডের প্রথম পছন্দ। তবে জঙ্গিসহ সহিংসতার কারণে কাশ্মীরে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি পর্যটনেও এর প্রভাব পড়ে। তবে কাশ্মীর এখন আগের চেয়ে শান্ত। গত কয়েক বছরে কাশ্মীরে সিনেমার শুটিংও শুরু হয়েছে। ডাল লেকের এই ভাসমান থিয়েটার পর্যটকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হবে।

কাশ্মীরে এমন একটি পদক্ষেপ নেওয়া নিঃসন্দেহে শিকল ভাঙার সমতুল্য। মানুষের যেখানে বেঁচে থাকা হয় ভালো কিছু হবে এই স্বপ্ন দেখে সে স্থানে মানসিক আনন্দ বৃদ্ধি করার জন্য থিয়েটার নির্মাণ করা একটি আশার আলো।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ