মেয়ে ঘরে থাকলে ভালো, বাইরে গেলে খারাপ!
বর্তমানে কাজ ছেলে-মেয়েকে আলাদা করে দেখে না। একটা ছেলে যে কাজ করতে পারে, একটা মেয়েও সেই কাজ করতে পারে। একটা সময় ছিল যখন বলা হতো, মেয়ে হয়ে কিভাবে একটা ছেলের কাজের সাথে নিজের কাজের তুলনা করে? তবে এখন একজন মেয়ে নিজের ইচ্ছার পেশাতেই চাকরি করছে। মেয়েরা দেশ শাসন থেকে শুরু করে নানা চ্যালেঞ্জিং পেশায় যুক্ত আছে। কিন্তু এর পরও অনেক সময় মেয়েদের শুনতে হয়, বাইরে বের হওয়া মানেই খারাপ মেয়ে। ছেলেরাও তো বাইরে বের হয়, তাদের তো খারাপ ছেলে বলা শুনতে হয় না।
দেশে এমন কিছু পেশা আছে, যেখানে ৯টা থেকে ৫টা অব্দি ডিউটি না। যখন ডাক আসবে, তখনই কাজে যেতে হয়। উদাহরণস্বরূপ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ডাক্তার, সাংবাদিকদের কথা বলা যায়। এই পেশার মানুষের কাজের কোনো নির্দিষ্ট সময় থাকে না। যখনই প্রয়োজন তখনই কাজ করতে হয়। সেটা সকাল হোক, কিংবা বিকাল। রাত হোক কিংবা দিন। কাজের প্রতি ভালোবাসা ও নিষ্ঠাবোধ থেকে অনেকেই এই চ্যালেঞ্জিং পেশাগুলোতে টিকে আছে। শুধু টিকে আছে, তা-ই নয়, ছেলেদের সাথে টেক্কা দিয়ে টিকে আছে।
কিন্তু এত কিছুর পরও এখনো মেয়েদের বাইরে বের হওয়া নিয়ে হতে হয় প্রশ্নবিদ্ধ। একটি মেয়ে চার দেয়ালে বন্দি থেকে কখনো বিশ্বজয় করতে পারবে না। বিশ্বজয় করতে হলে তাকে ঘরের বাইরে যেতেই হবে। তবে সমাজ তো আর সেটা বোঝে না। সমাজে কিছু মানুষ রয়েছে, যারা মেয়েদের ঘরের বাইরে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেন না। তাদের কাছে মেয়েদের এই বাইরে যাওয়াটা হলো স্বেচ্ছাচারিতা।
মেয়েরা তো কাজের ওপর নির্ভর করেই ঘরের বাইরে যায়। ঘরে বসে থেকে তো কখনো বাইরের কাজ করা যায় না। তাহলে কেন মেয়েদের তকমা দেওয়া হয় যে, মেয়ে ঘরে থাকলে ভালো, বাইরে গেলে খারাপ!