‘কানাডা ভলান্টিয়ার অ্যাওর্য়াড’ সম্মাননা জিতলেন বাংলাদেশি সাদিয়া রহমান
কানাডার প্রেইরিতে বসবাসরত বাংলাদেশি সাদিয়া রহমান ২০১৯ এর "কানাডা ভলান্টিয়ার অ্যাওর্য়াড" এর জন্য মনোনীত হন।
সাদিয়া রহমান কাজ করতেন কানাডায় ইমিগ্রেশনে আগ্রহী ব্যক্তিদের বিভিন্ন ধরনের তথ্য সেবা ও প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মানুষকে সহায়তার জন্য। এ কাজের জন্য তিনি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে immigration and settlement নামে একটি পেইজ খোলেন। পরবর্তীতে immigrationandsettlement.org নামে একটি ওয়েবসাইট খোলেন।
কানাডায় প্রফেশনাল কাজের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবা মূলক কাজ আলাদাভাবে গুরুত্ব বহন করে। এধরনের কাজের জন্য কানাডার ফেডারেল সরকার স্বীকৃতি প্রদান করে একটি প্রতিবছর সম্মাননা প্রদান করে থাকেন। ২০১৯ সালের এই সম্মাননা লাভ করেন বাংলাদেশের মেয়ে সাদিয়া রহমান। পেইজের মাধ্যমে এই সংবাদটির ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষিত ও কর্মজীবী মানুষ ইমিগ্রেশন নিয়ে কানাডায় আসার চেষ্টা করেন। যার জন্য কেউ কেউ বিভিন্ন এজেন্সির কাছে ছোটেন, অনেকে নিজ চেষ্টায় সফলও হোন। কিন্তু কেউ কেউ অতিরিক্ত তথ্য বা ভুল তথ্যের জন্য হতাশ হয়ে পড়েন। অনেক সময় অনেকে প্রতারণারও স্বীকার হোন। এসব বিষয় নিয়ে সক্রিয় ভাবে পেইজ ও ওয়েবসাইট খুলে মানুষকে সহায়তা প্রদানের জন্য উদ্যোক্তা হিসেবে এই সম্মাননা পান সাদিয়া রহমান।
বর্তমানে সাদিয়া রহমান কানাডার রয়েল ব্যাংকে ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজার হিসেবে কর্মরত আছেন। এ বিষয়ে সাদিয়া জানান, কানাডা আসার উপায় সহজ ছিলো না। তিনি যখন কানাডায় আসার জন্য চেষ্টা করেন তখন এমন কোনো সহজ প্ল্যাটফর্ম ছিলো না যেখান থেকে তিনি সঠিক তথ্যসেবা পেতে পারেন। কানাডার ওয়েবসাইট ঘেঁটে নিজে নিজে প্রস্তুতি নেন। তবে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিলো প্রতিটি পদে। সেখান থেকে তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে ২০১৬ সালে তার ফেইসবুক পেইজ খোলে। এবং বাংলা ভাষায় মানুষকে কানাডার সবরকম বিষয়ে যেমন : সেখানকার জীবন, জীবিকা, শিক্ষাব্যবস্থা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, অর্থব্যবস্থা এসব নিয়ে তথ্য প্রদান করে সহয়তা করতে শুরু করেন।
তবে এই প্ল্যাটফর্মগুলো বানিজ্যিক নয় বরং স্বেচ্ছাসেবামূলক বলে শুধু তথ্যসেবা দিয়েই সহায়তা করতে পারেন বলে জানান সাদিয়া রহমান।