Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরবটির উপকারিতা

বাংলাদেশ কৃষি-প্রধান দেশ তাই ফলমূল, শাক-সবজি সবকিছুরই ফলন এখানে হয়। মৌসুম ভেদেও চাষাবাদ হয়। নানান সবজির মধ্যে বরবটি সবজি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। বরবটির সবজি বাড়ির ছোট-বড় সকলে খেতে পছন্দ করে। পুষ্টিগুণে ভরপুর বরবটির রয়েছে নানান উপকারিতা। 

বরবটিতে রয়েছে প্রোটিন, শর্করা, খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি- ২, ভিটামিন সি, খাদ্য-শক্তি প্রভৃতি।

বরবটির বীজ বপনের উপযুক্ত সময় হলো ফেব্র‌ুয়ারি থেকে জুলাই মাস এবং শীতকালে বরবটির বীজ বোনা উচিত নয়।

বরবটি বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে। যেমন- বিএইউ বরবটি-১ , কেগর নাইটি, চীনা বরবটি, ফেলন, লালবেনী, ঘৃত কুমারী, গ্রিন লং, তকি, বনলতা ইত্যাদি। তবে কেগরনাটকী নামে একটি উন্নত প্রজাতির বরবটি অনেক দিন পর্যন্ত চাষ হয়ে আসছে। কেগরনাটকী প্রজাতিটি পৌষ এবং মাঘ মাস ছাড়া সারা বছরই চাষ করা যায়। বরবটির উল্লেখযোগ্য প্রজাতির মধ্যে কেগরনাটকী ও লাল বেণী প্রজাতির ফলন সবচেয়ে বেশি।

প্রোটিন-সমৃদ্ধ বরবটি বসতবাড়িতেও চাষ করা যায় এবং ভাজা-সেদ্ধ-তরকারি সবকিছুতেই সমান উপযোগী। পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। এটি সাধারণত সেদ্ধ, ভাজা বা ঝোল রান্না করে খাওয়া হয়।

বরবটিতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড নামে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর দুটি উপাদান kaempferol এবং quercetin ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধিরোধ করতে কাজ করে। 

বরবটিতে থাকা ভিটামিন কে অস্টিওআর্থারাইটিস সমস্যা থেকে অস্থিসন্ধির যত্ন দেবে। আর রক্ত জমাট বাঁধতে ভিটামিন কে- এর ভূমিকা ব্যাপক। অর্থাৎ অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে বরবটির জুড়ি নেই। 

বরবটিতে রয়েছে প্রচুর উপকারী আঁশ, যা শরীরের এলডিএল (ক্ষতিকর) কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে হার্টের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। এছাড়াও এটি উচ্চ রক্তচাপ, বুক জ্বালাপোড়া প্রভৃতি সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে। এ কারণে হার্টের সুরক্ষায় বরবটি বেশ উপকারী। 

বরবটিতে রয়েছে সিলিকন। যা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। হাড় শক্ত করতে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়ামও পাওয়া যায় বরবটির বীজে। আর রজঃস্বলা নারীদের স্বাস্থ্য উপকারে সিলিকন ও ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বরবটিতে থাকা ভিটামিন সি খুব গুরুত্বপূর্ণ এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় আয়রন পরিপোষণে ভূমিকা রাখে। সালাদে কাঁচা বরবটি খেলে তা থেকে প্রচুর ভিটামিন সি পাওয়া যায়। আর বরবটিতেও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন। যা আপনার শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে পারবে।

বরবটিতে প্রচুর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এ্যন্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে দূষিত যৌগগুলোকে বের করে দেয়। ফলে সহজে চর্বি জমতে দেয় না। এ ছাড়া কম ক্যালরি যুক্ত খাদ্য ও ফ্যাট-কোলেস্টেরল না থাকায় এটি পেট ভরে খাওয়া যায়। এতে ক্ষুধা-ভাব কম হয়।

বরবটির অনেক উপকারিতা রয়েছে তবে এর অপকারিতা খুবই কম। যাদের রক্তে চিনির পরমাণ অনেক বেশি তাদের বারবটি না খাওয়াই ভালো। কিডনিতে ক্রিয়েটিনিনের সমস্যা এবং যাদের গেঁটে বাত আছে তাদের বরবটি পরিহার করাই উচিত।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ