বুকের গর্তটা কোনো শিল্পকর্ম নয়
ঐযে দেখছেন- যুবকের বুকের গর্তটা কোনো শিল্পকর্ম নয়,
এক ফালি জমিন, বিধ্বস্ত মানচিত্র ও লাশের স্তূপের ইতিবৃত্ত।
তার বুকের গর্তের রক্তস্রোত একটা মিছিলের কথা বলে
তার ঠোঁটের কোণে ঝুলে আছে মানুষের মুক্তির স্লোগান
তার বুকের জমাট বাধা লালচে রক্ত আগুনের গান শোনায়।
আমি এই যুবককেই চিনি ও জানি
তার মুষ্টিবদ্ধ হাতের শক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখি
তার দুই চোখের বারুদের খোঁজ পেয়েছিলাম সেই কবেই,
আমি জানতাম-
এই ছেলেটা কখনো তার মেরুদণ্ড বিক্রি করবে না
একদিন শিরদাঁড়া টানটান করে মানুষের কথা বলবে
আমি হলফ করে তোমাদেরকে বলেছিলাম-
এই ছেলেটা একদিন রাষ্ট্রদ্রোহী হবে।
আমি দেখেছিলাম ছেলেটার মধ্যে ভব্যতার বালাই নেই
‘জ্বী হুজুর- জ্বী হুজুর’ জিকির শিখেনি কখনো,
ছেলেটা আস্ত একটা গোঁয়ার
স্রোতস্বিনী নদীর মত দারুণ ছন্দে প্রবাহমান
সকল শ্যাওলার বাঁধ নিমিষেই সে ভেঙে দিতে জানে
সুকৌশলে সে বুকে করে বয়ে নিতে পারে পলিমাটি;
ছেলেটা বিস্তৃত চর গড়ে তুলতে জানে; গাজায় ফসলের মাঠ।
বুলেটে ছেঁদ হওয়া বুকের গর্তটা কোনো শিল্পকর্ম নয়
এটা বিপ্লবের প্রতীক; নিষ্পেষিত জনতার মুষ্টিবদ্ধ হাত,
মুক্তির টুকটুকে লাল নিশান।