রুনা লায়লা পেলেন আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার
সুরের যাদুতে মানুষ চিরকালই মোজে এসেছে। কেউ গানের সুরে জীবন বেঁধেছেন আবার কেউ জীবনের নানান চিত্রে গান বেঁধেছেন। গানের সাথে মানুষের একাত্মতা বহু জন্মের। এই গানই আবার বহু গুণীজনকে মানুষের কাছে এনে দিয়েছে।
সুরের মোহনায় সেসব গুণীজনেরা মানুষের জীবনে, মনে, মস্তিষ্কে, আত্মায় মিশে গেছে। তেমনই এই বাংলার একজন কালজয়ী গুণী শিল্পী রুনা লায়লা। গান দিয়ে মানুষের যে শুধু মন জয় করেছে তাই নয়, পেয়েছেন বহু সম্মাননা। এবার এই নন্দিত গায়িকা পেলেন আজীবন সম্মাননা। বাংলাদেশ মিউজিক জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএমজেএ) তাকে এই সম্মাননা প্রদান করেন। এটা ছিলো বিএমজেএ'র ৮ম মিউজিক অ্যাওয়ার্ড।
এ পর্যন্ত রুনা লায়লা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছেন মোট পাঁচবার। এছাড়াও স্বাধীনতা পদক (১৯৭৭), বাচসাস পুরষ্কার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি পুরষ্কার, পাকিস্তানের নিগার অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক পুরষ্কার পেয়েছেন।
মাত্র সাড়ে ১২ বছর বয়সে ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানি একটি ছবি ‘জুগনু’তে গান গাওয়ার মাধ্যমে সংগীত শিল্পী হিসেবে অভিষেক হয় এই গুণী গায়িকার। এরপরে জীবনে প্রায় ১০ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন। লোকজ, পপ, রক, গজল, আধুনিক- সব ধরণের গানেই নিজের অবাধ বিচরণ রেখে চলেছেন। বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ইংরেজিসহ ১৮টি ভাষায় গান গেয়েছেন এই সংগীত তারকা।
এই গায়িকার অর্জনের তালিকা করলে তা যে বেশ লম্বা হবে তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। নব্বইয়ের দশকে একবার তিনি মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সুরকার নিসার বাজমির সুরে একদিনে ১০টি করে তিন দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নাম লেখান।
এবার বিএমজেএ'র মিউজিক পুরষ্কারে যোগ হল আজীবন সম্মাননার মত আরেকটি অর্জন। এই আয়োজনে রুনা লায়লা ছাড়াও আরো অনেকেই পুরষ্কার জিতেন৷ তার মধ্যে সেরা গায়কের পুরষ্কার পান তাহসান খান। করোনা সংক্রমণের কারণে গতবারের মতো এবারও বিএমজেএ অনলাইনেই পুরষ্কার ঘোষণা করেছে । তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তীতে বিজয়ীদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হবে বলে জানান।