মাথা ন্যাড়া করলেই উঠবে ঘন-কালো চুল!
প্রচলিত কথা আছে যে, যত বেশি মাথা ন্যাড়া করা হবে, ততই মাথার চুল হবে ঘন-কালো এবং লম্বা। কিন্তু এই প্রচলিত কথা আদৌও কি সত্যি? আমাদের দাদী-নানীরা তো অনেক কিছুই বলে থাকেন। এই যেমন ধরুন, রাতে আয়না দেখা বারণ, সব সময় চুলে তেল ব্যবহার করতে হবে, চুল সব সময়ই বেঁধে রাখতে হবে ইত্যাদি। কিন্তু এই সকল কথার কোনই ভিত্তি নেই বা এই কথা গুলো যে সত্যি তারও কোনো প্রমাণ এখন অব্দি পাওয়া যায়নি।
বারবার ন্যাড়া করা হলে চুল ঘন হবে না। আমাদের যে ফলিকন থেকে চুল গজায়, সেইখানের সাথে ন্যাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। বিষয় টি এমনও কিন্তু না যে, আমাদের ফলিকনে রেজার বা ব্লেড এর ছোঁয়া লাগলে চুল হবে ঘন-কালো এবং লম্বা। তাই এই ধরনের ভুল প্রচলিত কথা বিশ্বাস না করাই ভালো।
এছাড়াও অনেকের কাছে শোনা যায়, বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের দিকের মানুষেরা মনে করেন যে, সব সময় চুলে তেল দিয়ে রাখলে চুল জলদি বাড়তে সাহায্য করে থাকে। সেই সাথে চুল আরও কালোও হবে। এটিও ভুল কথা। সব সময় চুলে তেল দেওয়া হলে এটি আমাদের ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে ত্বকে দেখা দেয় ব্রণ, র্যাশ আরও অনেক ত্বক জনিত সমস্যা।
আবার সব সময় চুলে তেল ব্যবহার করার ফলে বাইরের ধুলো-বালি চুলের সাথে মিশে চুলকে করে তুলে রুক্ষ। এর কারণে দেখা দেয় চুলের বিভিন্ন সমস্যা। যেমন; চুল পড়ে যাওয়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়া, চুলের প্রাণবন্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। তাই চুলে সব সময় তেল ব্যবহার না করে বরং সপ্তাহে ২/৩ দিন গোসলের আগে ব্যবহার করুন। পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে চুলও ভালো, সুস্থ থাকবে সেই সাথে চুল সঠিক পরিচর্যাও পাবে।
চুলের ঘনত্ব বাড়াতে চুল কাটা জরুরি কিন্তু সেটি বছরে ২ বার। ৬ মাস অন্তর অন্তর চুল কাটা উচিত। তাও সেটি চুলের আগা। চুলের আগা কাটা না হলে চুলের আগা ফেটে যায় ফলে তা চুলকে বাড়তে বাঁধা দিয়ে থাকে। তাই ৬ মাস পর পর চুলের আগা ফাটা দূর করতে এবং সেই সাথে চুলকে বাড়াতে চুলের আগা কাটা উচিত ।
চুল খোলা রাখা হলে চুলে বাতাস চলাচল করতে পারে। তাই চুল শুধু রাতেই বেঁধে রাখা শ্রেয়। চুলে বাতাস যত লাগবে ততই চুল বেশি প্রাণবন্ত থাকবে সেই সাথে থাকবে সতেজ। কিন্তু বাহিরে যাওয়ার আগে অবশ্যই চুল বেঁধে যাওয়া উচিত। অন্যথায় চুলে ধুলো বালু মিশে চুল নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে।