চিরন্তনী নারী
আমি নারী, আমি কবির কবিতার প্রতীক হতে পারি।
আমি শঙ্খচিলের মতো ডানা মেলতে পারি।
আমি লজ্জাবতী ,আমি রুপান্তরকারী,
আমি অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করতে জানি
আমি করিনা ভয় , কিংবা সংশয়।
আমি চলার পথে হোঁচট খেলে
একলা একাই উঠে দারাতে পারি।
আমি কান্নার পরে হাসিমুখে কথা বলতে পারি।
হাজারো কষ্ট পেরিয়ে আমি হিমালয় জয় করি।
আমি হেরে যাওয়া মানুষকে সাহস দিতে পারি।
আমি কঠিন স্রোতে দিশাহারা হয়ে পরলে
হতাশাকে ছুঁড়ে ফেলে স্বপ্ন দেখতে পারি ।
আমি ভালবাসতে পারি
একটু ভালোবাসা পেলে আমার পাষাণ হৃদয় বরফগলা নদীর মত হয়ে যায়,
আকাশের মত বিশালতা মন আছে আমার,
আমি একটু খানি ভরসা খুঁজি
পাশে থাকার একটা বিশ্বস্ত হাত পেলে আমি ভরসা পাই।
মন খারাপের দিনে আমি
একলা বসে আপন মনে
বিষাদমাখা বিকেলটা পার করতে পারি।
ছেঁড়া পাতার ধুলোবালি
আদর দিয়ে মুছে ফেলি ডাইরিটা আমি আগলে রাখতে জানি।
যতোই অভাব ঘিরে থাকুক
অসুখ বিসুখ যেটাই আসুক
দু:খটাকে লুকিয়ে রেখে হাসিমুখে সহ্য করতে পারি।
আমি বাবার কন্যা, স্বামীর ভালোবাসা, সন্তানের জননী
আমি শাশ্বত, মায়াবী, চিরন্তনী।