যেনো হাওয়ায় ভাসছে নৌকা!
অনন্যা ডেস্ক ১৮ নভেম্বর ২০২০, ০১:৪৬
পানিতে ভাসবে নৌকা এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সে পানি যদি হয় এতোটাই স্বচ্ছ যাতে মনে হবে যেনো হাওয়ায় ভাসছে নৌকা, নিচে নুড়ি পাথড় পর্যন্ত স্পষ্ট, সাথে নৌকোর ছায়াও। এযেনো এক স্বর্গসম সৌন্দর্য্য।
আর এ সৌন্দর্যের দেখা মেলে ভারতের মেঘালয়ের ডাউকি শহরে। ডাউকি হল মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম জৈন্তিয়া পাহাড় জেলায় অবস্থিত একটি শহর। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং শহর থেকে মাত্র ৯৫ কিলোমিটার দূরে এই ডাউকি শহর। আর এই শহর এর মধ্যে দিয়েই বয়ে গেছে উমগট নামের এক নদী। খোলা আকাশের নীচে ঝলমলে করছে সে নদী আর সে ঝলমল দৃশ্য সৃষ্টি হচ্ছে শুধুমাত্র পানির স্বচ্ছতার কারনে। পানির এ স্বচ্ছতাই এ নদীকে দিয়েছে অন্যরকম এক সৌন্দর্য্য আর আকর্ষনীয় করে তুলেছে পর্যটকদের কাছে ।
অনেকে এ অভূতপূর্ব সৌন্দর্যের জন্য উমগটকে বলেন- মেঘালয়ের ‘লুক্কায়িত স্বর্গ’ বা আনএক্সপ্লোর্ড প্যারাডাইস।
আমরা যেখানে বুড়িগঙ্গার মতো নদী দেখে অভ্যস্ত, সেখানে এ নদী তো আমাদের চোখের সামনে শুধু স্বর্গই নয় বরং তার থেকে আরো বেশি কিছু বলেই মনে হবে। রইলো বাকি ভারতের কথা। ভারতের মতো কোনো দূষন জর্জরিত দেশে এমন স্বচ্ছ নদীর দেখা মেলা দায়। যেখানে স্বয়ং তাদের গঙ্গা নদীই দূষণে জর্জরিত। তাই এপার ওপার দুদেশের মানুষের চোখেই এ নদীর সৌন্দর্য্য একটু অবাক চাহুনীতেই ধরা পরে। দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরা ভীর করে এ নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসে এ ডাউকি শহরে। যার প্রধান উদ্দেশ্য এই উমগট নদীর সৌন্দর্য্য দর্শন। আর সাথে বোনাস হিসেবে এর আশেপাশের অনেকগুলো পাহাড়ি ঝর্না দর্শনতো পেয়েই যাচ্ছেন। তবে অনেকের হয়তো একটা বিষয় অজানা, এ অপরুপ সৌন্দর্য্যমন্ডিত নদীটি জাফলং সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশে প্রবেশ পথেই উমগট নদী দুই ভাগে বিভক্ত, যার প্রধান শাখা পিয়াইন। অপর শাখাটি ডাউকি বা জাফলং নামে প্রবাহিত হয়। বাংলাদেশে ১৪৫ কিলোমিটারের পিয়াইন নদী সিলেট জেলার ছাতকের উত্তরে শনগ্রাম সীমান্তের কাছে সুরমা নদীতে গিয়ে মিশেছে।
তবে বাংলাদেশে প্রদেশ করে যেখানে এ নদী 'পিয়াইন নদী ' নামে বয়ে চলেছে । সেখানে রয়েছে বিছানাকান্দি পর্যটন স্পট। যার সৌন্দর্য্যও নেহাত কম নয়। তাই ওপারে মেঘালয়, উমঘটের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে না পারলেও এপারে পিয়াইন, বিছানাকান্দির সৌন্দর্যের টানে ছুটে যেতেই পারেন।