Skip to content

২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের ৫ জায়গায় বেড়াতে যেতে পারেন এই বর্ষায়

বর্ষাকালে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেড়ে যায়। আকাশে জমে থাকা মেঘগুলো যেন এক জোট হয় খেলা করছে। প্রকৃতির সবুজ সৌন্দর্য্য বেড়ে যায় দ্বিগুণ। আর তা মনে এবং চোখে দুইয়েরই শান্তি মিলে। তাই বর্ষাকালে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করাটা জরুরী তাই চিন্তাভাবনা না করে দেশের এক্স পাঁচ অঞ্চলে ঘুরে আসা যাক-


জল থৈ থৈ বরিশাল
এই ভ্রমণটির নাম দিতে পারেন ‘ব্যাকওয়াটার অ্যান্ড ভিলেজ ট্যুর’। বরিশাল, পিরোজপুর ও ঝালকাঠির সীমান্তবর্তী কয়েকটি উপজেলা নদ-নদী-খাল দিয়ে ঘেরা। আর এখানকার মানুষেরা জলনির্ভর জীবনযাপন করে থাকে। তাই এর নাম দেয়া হয়েছে ‘বরিশাল ব্যাকওয়াটার’। বরিশালের খালগুলোতে নৌকায় বেড়ানোর স্বাদ নিতে ও নৌকায় ঘুরে ঘুরে গ্রামীণ চিত্র এবং রাতে গ্রামের কুঁড়েঘরে থাকার স্বাদ নিতে বেছে নিতে পারেন এই ব্যাকওয়াটার ট্যুরটিকে। এছাড়াও আছে জনপ্রিয় ঝালকাঠির ভাসমান পেয়ারার হাট। আগস্টের দিকে পুরো জমে ওঠে এই হাটটি। এই বর্ষায় তাই ঘুরে আসতে পারেন বরিশালের এই এলাকায় নৌকায় করে গ্রামীন পরিবেশ উপভোগ করতে।

বৃষ্টি বিলাসে বন
বর্ষায় বনে ক্যাম্পিং করা এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিতে পারে আপনাকে। দিনের বেলা তো আছেই তবে রাতে বর্ষার অন্ধকার বনে টেন্টের পাশে আগুন পোড়ার শব্দ, ব্যাঙের ডাকের শব্দ, পেঁচার শব্দ, মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি এর মধ্যে ঘুমানো আপনাকে দিবে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতা নিতে বেছে নিতে পারেন হবিগঞ্জের কালেঙ্গা, রেমা বা সাতছড়ি । আর যদি আরেকটু দূরে যেতে চান তাহলে বান্দরবানের সাঙ্গু-মাতামুহুরীর বন আছে, আছে চট্টগ্রামের হাজারীখিল অভয়ারণ্য। তবে বর্ষায় বনে ক্যাম্পিং করতে গেলে ভ্রমণে সাবধানতা অনেক জরুরি। বর্ষায় বন অনেক বদলে যায় সাপসহ বিভিন্ন পোকামাকড়ের আনাগোনা বেশি থাকে।

হাওরের সৌন্দর্য্য
এই বর্ষায় যেখানকার হাওরেই যান না কেন, কোনটি-ই আপনাকে নিরাশ করবে না একটুও। চারিদিকে পানি আর পানি। চারিদিকে অথৈ পানি, জলাবনে সাজানো এক একটি হাওর আপনার ভ্রমণ কে করে তুলবে মনমুগ্ধকর। বর্ষায় সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ বা মৌলভীবাজার যেকোনটি বেছে নিতে পারেন ভ্রমণের জন্য। এখন তো সুনামগঞ্জে রয়েছে আধুনিক সুবিধাসহ বাহারি সব হাউসবোট। যা আপনাকে পানির উপর নিজের ঘর এরকম অনুভূতি দিবে। আর যাদের দরকার হাওরের আদি অভিজ্ঞতা আর অ্যাডভেঞ্চার , তাদের জন্য সেই ব্যবস্থাও আছে।

দক্ষিণের জলরাশি
বর্ষায় লঞ্চে করে নদীর প্রকৃত রূপ দেখা এক আলাদাই অভিজ্ঞতা। বর্ষার নদীর উথাল-পাতাল রূপ দেখতে ভ্রমণে যেতে পারেন মেঘনার নিম্নাংশে। মেঘনা নদী বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ নদী এবং পৃথিবীর বৃহৎ নদীগুলোর অন্যতম। ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রতিদিনই লঞ্চ ভোলার ইলিশা, মনপুরা, নোয়াখালীর হাতিয়াসহ বিভিন্ন জলপথ দিয়ে যায়। বাদলে ঘেরা, হালকা হালকা বৃষ্টিরদিনে এসব লঞ্চে চেপে দক্ষিণের কোনো জায়গার উদ্দেশে দুতিনদিনের জন্য লঞ্চ ভ্রমনে যেতে পারেন। বর্ষা উপভোগ করতে রিভার অ্যাডভেঞ্চারের কোনো বিকল্প নেই। তবে লঞ্চ ভ্রমণে ঝড় ও বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখতে হবে সব সময়, ভালো ও উন্নতমানের লঞ্চ বাছাই করতে হবে আগেই।

কাপ্তাই লেক
বাংলাদেশের বৃহত্তম হ্রদ হচ্ছে কাপ্তাই। এটি রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত। কর্ণফুলী নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করতে গেলে রাঙ্গামাটি জেলার ৫৪ হাজার একরের কৃষি জমি ডুবে গিয়ে দৃষ্টিনন্দন এ হ্রদের সৃষ্টি হয়। বর্ষায় টইটম্বুর কাপ্তাই লেকে নৌকা ভারা করে ঘুরে বেরিয়ে এক অন্যরকম স্মৃতি নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন। কাপ্তাইয়ে ভাসতে ভাসতে আরো পাবেন নানা জাতের মাছের স্বাদ ও সাথে দেখা মেলবে পানিতে পানকৌড়ি পাখির মাছ স্বীকার।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ