ডার্ক সার্কেল? জেনে নিন সমাধান

অসময় ঘুমের অভ্যাস, অপর্যাপ্ত ঘুম, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ইত্যাদির প্রভাব আমাদের যে শুধু স্বাস্থ্য অথবা জীবনের উপরই পড়ে তা নয়। এর প্রভাব পড়ে আমাদের চেহারাতেও। এগুলোর কারণে আপনি একদিকে যেমন অসুস্থ হয়ে পড়বেন, অন্যদিকে অনিয়মের ছাপ পড়বে চোখে-মুখে, চেহারাতেও। বেশিরভাগ সময় এর ফলে চোখের নিচে পড়ে কালচে ছাপ। একে বলা হয় ডার্ক সার্কেল। এই ছাপের ফলে চেহারা রুগ্ন দেখায়।

চিকিৎসকদের মতে, চোখের নিচের কালচে ছাপ বা ডার্ক সার্কেল বেশ কয়েকটি কারণে পড়ে। তবে প্রাথমিকভাবে চোখের নিচে এই দাগ পড়লে তা ঘরোয়া কিছু সবজি, নিয়মিত পানি পান, ঘুম এ সব দিয়েই দূর করা যায়। আসুন জেনে নেই সহজলভ্য বেশ কিছু খাবার ও করনীয় যা চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতে সহায়ক হতে পারে,

•    পানির অপর নাম জীবন। আমাদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য উপাদান পানি। নিয়ম মেনে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। চোখের নিচের কালচে ছাপ বা ডার্ক সার্কেল কমাতে পানির চেয়ে কার্যকর উপাদান আর কিছু হতে পারে না।

•    শশা শরীরে পানির চাহিদা মেটায়। এ ছাড়াও শশায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে-র মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। শশায় থাকা সালফার ত্বকের উজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে। চোখের নিচের কালচে ছাপ বা ডার্ক সার্কেলে শশার রস নিয়মিত ব্যবহারে এই সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।

•    তরমুজে পানি রয়েছে প্রায় ৯২ শতাংশ। এতে বিটা ক্যারোটিন, ফাইবার, লাইকোপিন, ভিটামিন বি-১, বি-২, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এই উপাদানগুলো চোখের নিচের কালচে ছাপ বা ডার্ক সার্কেল দূর করতে বিশেষ সাহায্য করে।

•    টমেটো ও লেবুর রসের মিশ্রণ চোখের তলায় দিয়ে রাখুন। দশ মিনিট এই মিশ্রণ লাগিয়ে রাখলেই মিলবে মুক্তি।

•    আলুর রসে ভিজিয়ে নিন তুলোর বল। তারপর চোখের চারদিকে বুলিয়ে নিন এই বল। দশ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন।

•    ফ্রিজে রাখা ঠাণ্ডা গ্রিন টি-এর ব্যাগে চোখ বোলালেও মিলবে ফল।

•    আমন্ড ওয়েল চোখের ডার্ক সার্কেলে বোলাতে হবে। সারারাত রেখে দিয়ে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেললে মিলবে ফল।

•    চোখের নিচে কালি দূর করতে ঠাণ্ডা দুধের বিকল্প নেই। তুলোর বলে ঠাণ্ডা দুধ লাগিয়ে তা ডার্ক সার্কেলে ব্যবহার করুন।

এই সব খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে ও উপকরণগুলো নিয়ম মতো ব্যবহার করলে ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দ্রুত দূর হবে। তবে একই সঙ্গে অসময় ঘুমের অভ্যাস, অপর্যাপ্ত ঘুম, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের থেকেও নিজেকে দূরে রাখতে হবে।