Skip to content

২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বুধবার | ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউনে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে শিশু নির্যাতন

লকডাউনে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে শিশু নির্যাতন। করোনাকালে শুধু এপ্রিল মাসেই দেশের ২৭ জেলায় ৩৫ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যেখানে পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সারাদেশে ৪৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। চলমান করোনা সংকটে নারী ও শিশুদের পরিস্থিতি জানতে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের করা এক জরিপে এসব তথ্য উঠে আসে।

 

এই জরিপে প্রকাশ পায়, ৪৫৬ শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার। যাদের মধ্যে ৪২৪ শিশু আগে কখনো নির্যাতনের শিকার হয়নি। এই শিশুদের মধ্যে শতকরা ৯২ জন বাবা-মা অথবা আত্মীয়দের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বুধবার অ্যাপ জুমের মাধ্যমে এক ভিডিও প্রেস কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এসব তথ্য দেন।

 

কনফারেন্সে তিনি বলেন, করোনাজনিত লকডাউন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নারী ও শিশুরা কেমন আছে তা জানতে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) তার কর্ম এলাকার নারী ও শিশুদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে। তবে ঘরে আবদ্ধ থাকার কারণে শিশুদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া সহজ ছিল না।

 

এমজেএফের দুইটি প্রকল্পের ২৪টি সহযোগী সংগঠন ২৭ জেলার ৫৮ উপজেলার ৬০২টি গ্রাম ও চারটি সিটি করপোরেশনের ৪ হাজার ২৪৯ জন শিশুর সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে এপ্রিল মাসে সংঘটিত সহিংসতা ও নির্যাতনের এই ভয়াবহ তথ্য উদ্ঘাটন করেছে।

 

এদের মধ্যে ৪২৪ শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ৩৩টি এবং অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৪২টি। চার শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১৬ জনকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়, অপহূত হয়েছে দুই জন, যৌন হয়রানির শিকার ১০ জন এবং রিলিফ নেওয়ার সময় ১০ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।

 

অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা এবং বিচারের আওতায় নিয়ে আসা এবং করোনা পরিস্থিতিতেও নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য ‘ভার্চুয়াল কোর্ট অর্ডিন্যান্স’ দ্রুত রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের ব্যবস্থা করার সুপারিশ তুলে ধরা হয় এই সংবাদ সম্মেলনে। নিরাপত্তা (সিকিউরিটি অ্যান্ড রাইটস অব উম্যান অ্যান্ড গার্লস) এবং সুইডিশ সিডার সহায়তায় জেন্ডারভিত্তিক বৈষম্য প্রতিরোধ (কমবেটিং জেন্ডার বেইসড ভায়োলেন্স) এবং এমজেএফ কর্তৃক পরিচালিত উক্ত কর্মসূচি দুটির আওতায় এই জরিপটি করা হয়।

 

করোনা পরিস্থিতিতে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা ও অন্যান্য সহিংসতা প্রতিরোধ ও সহায়তা প্রদান করার লক্ষ্যে ইউকেএইডের সহায়তায় নারী ও শিশু অধিকার ও এমজেএফ পুরো এপ্রিল মাসে সহিংসতার শিকার হওয়া ২ হাজার ২০২ জন নারী ও শিশুকে কাউন্সিলিং, আইনগত সহায়তা ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে। ২ হাজার নারী ও শিশু যারা নিয়মিত সহিংসতার ঝুঁকিতে রয়েছে, তাদের ফলোআপ করছে যেন আবার সহিংসতার শিকার না হয়। সহযোগী সংগঠনের সহায়তায় ১৪১ বাল্যবিবাহ নিরোধ করা হয়েছে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ