Skip to content

অচেতন শিশুটি লাইফ সাপোর্টে, পুলিশি হেফাজতে চারজন

অচেতন শিশুটি লাইফ সাপোর্টে, পুলিশি হেফাজতে চারজন

মাগুরায় বেড়াতে এসে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া আট বছরের শিশুটি এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছে। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। পুলিশের ধারণা, শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার বড় বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আটক করা হয়েছে। তবে তারা কেউই এখন পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি।

শিশুটির পরিবার ঢাকায় থাকায় এখনো মামলা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন থাকায় তার বড় বোন ঢাকা থেকে মাগুরা গিয়েছেন, এমনটা জানিয়েছেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম। ইতোমধ্যে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

বুধবার দিবাগত রাতে শিশুটি তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিল। পরদিন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার বোনের শাশুড়ি গুরুতর আহত ও অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হয়ে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

চিকিৎসকদের প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, শিশুটির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি শ্বাসরোধের ইঙ্গিত দেয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় খোঁচা ও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার গোপনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এটিও শারীরিক সহিংসতার প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মাগুরার মহাসড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করে অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার দাবি করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালায়।

পুলিশ বলছে, তদন্ত চলছে এবং প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।