Skip to content

২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীর শ্রম নারীর শক্তি

শ্রমের মূল্য নির্ধারিত হয় তার গুণের ভিত্তিতে। কিন্তু যিনি শ্রম দেবেন তার প্রচেষ্টার মূল্যায়নটুকু জরুরি। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের বঞ্চনার ইতিহাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মাধ্যমেই মহান মে দিবস আজ আমাদের আলোড়িত করে। মে দিবসে প্রত্যেকেই শ্রম শব্দটিকে উল্টেপাল্টে দেখি। শ্রমের মূল্যায়নের বিপরীতে তাই থাকে বঞ্চনা। শ্রমিকের শ্রমের মূল্যায়নই পারে সুষ্ঠু উৎপাদনমুখী ব্যবস্থার পথ সুগম করতে। আর একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রও শ্রমের মূল্যায়ন করে শ্রমিকের ন্যায্য সুযোগ- সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তার শ্রমকে আরও ব্যাপকতর পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। ফলে নিজ শ্রমের প্রয়োগ করার বিস্তৃত। পরিসরে ব্যক্তি নিজেকে বিকশিত করার সুযোগ পায়। আর এই কল্যাণমুখী উদ্যোগে রাষ্ট্রও লাভবান হয়। কিন্তু যখন শ্রমের মূলয়য়ন গুণগত দৃষ্টিকোণে করা না হয় তখন কর্মক্ষমতাও কমে যায়। এই সতটি নারীর ক্ষেত্রে কতটা সত্য তা বিবেচনা করে দেখা জরুরি।

বছরে দুটো দিন নারীর দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মূল্যায়ন করার মার্চ বিশ্ব নারী দিবসে নারীর অধিকার নিয়ে আমরা সোচ্চার হই। আর মহান মে দিবসে নারীর শ্রমের মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করি। প্রতিবার উত্তর সেই একই। দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল হয়েছে। কিন্তু যদি সাম্প্রতিক পরিসরে দেখাতে যাই তাহলে দেখা যাবে বৈষম্যের মাত্রাই বেড়েছে। এই বৈষম্য শুধু অধিকারের ক্ষেত্রে নয়। এই বৈষম্য উৎপাদন-ব্যবস্থার মধ্যেও। আধুনিক বিশ্বে কোনো রাষ্ট্রই আর অন্য রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল থাকার মতো স্বস্তিতে থাকতে পারে না। কারণ বৈশ্বিক সংকটে প্রতিটি রাষ্ট্রই উৎপাদনমুখী হওয়ার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। আর উৎপাদনের চাকা সচল করতে হলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর হলেও স্বল্পমেয়াদে আমরা এখনো শ্রমের ওপর নির্ভর করেই জাতীয় আয় সমৃদ্ধ করে চলছি। তৈরি পোশাক শিল্পখাত, চা শিল্প থেকে শুরু করে প্রবাসী আয় অর্জনেও শ্রম রপ্তানিই এখনো আমাদের প্রধান আয়ের উৎস। কিন্তু শ্রম রপ্তানি করার মতো সক্ষমতা থাকলেও নারীর শ্রমের মূল্যায়ন কতটা হয়েছে তা বিবেচনার দাবি রাখে।

আদিম সমাজব্যবস্থা থেকে মধ্যযুগেও শ্রমের মূল্যায়নের প্রশ্নই ছিল না। এই সময়ে শ্রমের উপযোগিতা ছিল আর দাসপ্রথাই ছিল চাহিদা পূরণের মাধ্যম। কিন্তু আধুনিক সময়ে শ্রমের পরিমাণগত মূল্যায়নও জরুরি হয়ে পড়েছিল। গুণগত ও পরিমাণগত মূল্যায়ন সাপেক্ষেই শ্রমিকরা একসময় নিজেদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পেরেছিল। প্রসঙ্গত মহান মে দিবসের ঐতিহাসিক ঘটনার কথাই টেনে আনতে হয়। ১৮৮৬ সালের ১ মে ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের আন্দোলন তুঙ্গে ওঠার আগে ১৮৫৭ সালে আমেরিকার সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা তাদের কর্মঘন্টা, মজুরি বৈষম্য, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে রাজপথে নামে। পুলিশি নিষ্ঠুর আক্রমণে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সেই প্রতিবাদ ও দাবির আন্দোলনকে। কিন্তু আন্দোলন শেষ হয়নি, বরং নতুন রূপ নিয়েছে, নতুন দাবি সংযোজিত হয়েছে। তেমনি এক দাবি গৃহকর্মের স্বীকৃতি ও নারীর গৃহস্থালি কাজের মূল্যায়নের দাবি।

কাজ করলে তার একটি ফল আসবেই। কাজের মাত্রাটি কেমন তা বিবেচনার বিষয় নয়। কারণ কাজের মাত্রার মতো পরিমাণগত বিষয়টি বিবেচনা করাটা অন্যায়। একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝানো যেতে পারে। একজন তরুণের পক্ষে খুব সহজেই পাশের ঘরে হেঁটে গিয়ে এক গ্লাস পানি জগ থেকে ঢেলে খাওয়া সহজ। তার শারীরিক গঠন ও তারুণ্যের সক্ষমতার জন্যেই সে কাজটি করতে পারে। এই তারুণ্যকে মূল্যায়ন করার সুযোগ থাকলেও সে হেঁটে গিয়ে পানি খেতে পারছে এটিকে আমরা বড় করে দেখি না। কিন্তু একজন বৃদ্ধ যিনি হাঁটাচলা করতে পারছেন না তারপক্ষে অন্তত পাশের ঘরে গিয়ে পানি খাওয়া সহজ হয় না। তাই বলে বৃদ্ধকে কি ফেলনা ধরে নিতে হবে? তখন তাকে কেউ একজন পানি এনে দিলে তিনি খেতে পারেন। এই দুটো পৃথক উদাহরণ দেওয়ার কারণ হলো, কোনো কাজই আসলে ছোট নয়। সমাজে প্রত্যেকটি মানুষ নানা কাজে নিয়োজিত থাকেন। সময়, বয়স, সক্ষমতা, মেধা ইত্যাদি ভেদে দে নানা অবদান রাখে। সমাজ ও পরিবার প্রতিটিকেই সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে অর্থনৈতিক একক হিসেবেই ধরে নিতে হবে। তাই কাজের ফলাফল থাকাটাই বাঞ্ছনীয়। বৃদ্ধদের পানি এনে দেওয়ার কাজের ফলাফল সৌহার্দ্য ও মমতা। মানবিক গুণাবলীর চর্চাও কাজের ফল হতে পারে। অর্থাৎ পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় পরিমাণগত হিসেবের বিবেচনায় কাজকে মূল্যায়ন করতে গেলে বিপত্তি বাধরেই। কাজের ফল না থাকলে দৈনন্দিন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন অচল-বিপন্ন হয়ে উঠতে বাধ্য। অর্থাৎ কোনো কাজের স্বীকৃতি ও প্রাপ্য মূল্যায়ন দেওয়া না হলে সে কাজটি কোনো ফল আনার মতো শক্তি পায় না। একজন বৃদ্ধ যেমন শয্যায় শায়িত অবস্থাতেও জীবনকে আঁকড়ে ধরার গোপন বাসনায় থাকেন তার পেছনেও মমতাময়ী আচরণের প্রভাব আছে। পরিবারের এই টানটি দৈনন্দিন জীবনে একে অন্যকে সাহায্য করার কাজের মধ্যেই নিহিত। এত বৃহৎ পরিসরে না ভেবে সামান্য ক্ষুদ্র পরিসরেই যদি ভাবা হয়

তাহলে দেখা যাবে নারীর কাজের আজো কোনো স্বীকৃতি নেই। তাদের কাজের কোনো মর্যাদা নেই। নারীর কাজকে আমরা সামাজিকভাবে দায়িত্ব হিসেবে নাম দিয়ে খুশি। অর্থাৎ নারীর গৃহস্থালি কাজ তাকে করতেই হবে। উদয়াস্ত এই কাজ যত ক্লান্তিকরই হোক না কেন সমাজ ও পরিবার একে মূল্যায়ন করে না। ফলে নারী একসময় তার বিকশিত হওয়ার সুযোগ হারায়। তার কর্মক্ষমতাও কমে। কারণ দায়িত্বের সুতোয় সে এক যন্ত্রের মতোই কাজ করে। সেখানে সৃজনশীলতা বা উদ্যমের কোনো ঠাঁই নেই।

কোনো নারী কাজ করছে, অর্থনীতিতে অবদান রাখছে, এমন একটি কথা দৃশ্যায়ন করতে গেলেই প্রথমে গার্মেন্টসে নারীর ছবি মানসপটে ভেসে উঠবে। এরপর পরিসংখ্যানগত হিসাবের যে বিষয়গুলো আমাদের অচেতনে প্রভাব ফেলেছে সেই পেশাগুলোও ভেসে আসবে। নারীকে আমরা কাজের বুয়া, ইট ভাঙার কাজ, মাটি কাটার কাজ, শিল্প কারখানার শ্রমিক হিসেবে কল্পনা করতে পারি। নারী অবশ্য শিক্ষিত হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠাও করতে পারছে। তবে সেক্ষেত্রে তাকে আমরা বেশিরভাগ সময় উদ্যোক্তা হিসেবে কল্পনা করি। তাকে আমরা মেডিকরলে পড়তেই দেখি বেশি। প্রযুক্তি বা প্রকৌশলে নারীকে খুব কমই দেখা যায়। নারী বহু আগে থেকেই নিজেকে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত করতে পেরেছে। খুব সামান্য কয়েকজনের গল্পই সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে। নারীর কাজের মূল্যায়ন সমাজ ভালোভাবে করে না। কারণ জাতীয় আয়ে অবদান রাখে এমন পরিসংখ্যান যখন দেওয়া হয় তখন যেসব খাতে নারীর অংশগ্রহণ বেশি সেগুলোকেই নারীর কাজের ক্ষেত্র ধরে নেওয়া হয়। আর যখন এগুলোই সমাজ ধরে নেয় নারীর কাজ তখন নারীর জন্য বাড়তি সমস্যা তৈরি হয়। সমস্যাটি হলো, নারীকে সমাজ প্রথম থেকেই বাধাগ্রস্ত করে রেখেছে। আর তার কাজের পরিসর তৈরি হলেও সমাজ তা বেঁধে দেওয়ার প্রবণতা রাখে। তাই নারী যখন রিকশা চালায়, নারী যখন লেগুনা চালায় এবং তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় আমরা বিস্মিত হয়। কিন্তু ওই নারীর জন্য এটিই স্বাভাবিক। অস্তিত্বরক্ষার তাগিদেই তাকে বেছে নিতে হয়েছে এই পথ। এমনটাই জীবন।

নারী যেখানেই থাকুক না কেন। গৃহস্থালি কাজটি তাকেই সামলাতে হয়। আধুনিক সময়ে পুরুষরাও কিছুটা সহায়তা করে। কিন্তু সেই চর্চা শহরকেন্দ্রিক। রাজধানীর ভিত্তিতে সমগ্র ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলকে বিবেচনা করারও একটি প্রবণতা আমাদের আছে। বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার জরিপে দেখা গেছে, মজুরিবিহীন কাজে পুরুষের চেয়ে নারীর অংশগ্রহণ দিনে ৬.৪৬ ঘণ্টা বেশি। ২০১২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর টাইম ইউজড সার্ভে রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ১৫ বছরের বেশি কর্মজীবীদের মধ্যে ঘরের বিভিন্ন কাজে পুরুষ দৈনিক ১.৪ ঘণ্টা এবং নারী ব্যয় করেন ৩.৬ ঘণ্টা। কর্মজীবী না হলে গড়ে নারীরা দিনে ৬.২ ঘণ্টা এবং পুরুষ ১.২ ঘন্টা এ ধরনের কাজে ব্যয় করেন। এরপরের রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও নিশ্চয়ই এর খুব একটা তারতম্য হবে না।

একটি মজার বিষয় বলা জরুরি। অনেক শিশু এমনকি তরুণকে বাবার কর্মক্ষেত্রের কথা জিজ্ঞেস করা হলে গর্ব। নিয়েই তারা সে পরিচয় জানায়। কিন্তু মা যদি গৃহিণী হন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই উত্তরটি গৃহিণী দেওয়ার আগে সবাই একটি বাক্যাংশ যুক্ত করবে, মা কিছু করেন না, তিনি হাউজওয়াইফ। একদম ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মনে অবচেতনভাবে এই বিশ্বাস ঢুকে যাচ্ছে। ঘরের কাজের কোনো বিনিময়মূলাই তো নেই। তারপরও বহুদিনের একটি বিশ্বাসকে চিরন্তন ভাবার কারণ নেই। জাতীয় অর্থনীতির প্রসঙ্গে এখন আর এই বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে রাখলে চলবে না।

নারীর কাজের অর্থনৈতিক অবদান প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত। প্রথমত, মজুরির বিনিময়ে কাজ এবং টাকা উপার্জনের জন্য স্বনিয়োজিত কাজ, যা জিডিপির হিসাবে যুক্ত হয়। দ্বিতীয়ত, নারীর মজুরিবিহীন কিছু পারিবারিক কাজ যেমন হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালন করে বিক্রি করা ইত্যাদি। এর আর্থিক মূল্য জিডিপিতে যুক্ত হয়। তৃতীয়ত, নারীর গৃহস্থালি কাজ, যার বাজারমূল্য বা বিনিময়মূল্য নেই, যা বাজারজাত করা যায় না তা জিডিপিতে যুক্ত হয় না এমনকি শ্রমশক্তির হিসাবেও গণ্য হয় না। এসব অবৈতনিক কাজের মূল্যের একটা ছায়া হিসাব করেছিল গবেষণা সংস্থা সানেম। তাদের তথ্য অনুযায়ী যদি গৃহস্থালি কাজের অর্থিক মূল্য হিসাব করা যায় তাহলে তা দাঁড়াবে নারীর ক্ষেত্রে জিডিপির ৩৯.৫৫ শতাংশ এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ। সিপিডির অপর আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, নারীর কাজের ৭৮-৮৭ শতাংশই অর্থনৈতিক হিসাবে আসে না। যেমন, কাপড় ধোয়া, রান্না করা, ঘর পরিষ্কার করা ইত্যাদি। ঘরে-বাইরে নারী যে কাজ করে তার পুরোটা হিসাবে আনলে এবং আর্থিক মূল্য বিবেচনা করলে জিডিপিতে নারী-পুরুষের অবদান সমান হবে। তখন আর কেউ বলতে পারবে না যে নারীরা কোনো কাজ করে না।

নারীর কাজের মূল্যায়ন না করার পেছনে পরিসংখ্যান ঘাটাঘাটি যেমন দায়ী তেমনি এই কাজের মূল্যায়ন করার পদ্ধতির জন্যেই পরিসংখ্যান তুলতে হয়। বর্তমান বিশ্ব একাধিক সমস্যায় জর্জরিত। বৈশ্বিক উৎপাদন, সরবরাহ, জলবায়ু এই তিনটি বিষয়ই সমস্যা তৈরি করছে। উৎপাদন এবং নিরাপদ পরিবেশ গড়ার জন্যে মানুষের যূথবদ্ধ প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু সেজন্য তো আগে সবাইকে সংযুক্ত করতে হবে। নারীর কাজ মূল্যায়ন না করা হলে সে কিভাবে বুঝবে তাকে কাজ করতে হবে? ঘরের ভেতর সে কিভাবে অর্থনৈতিক একক ধরে রাখবে? অথচ করোনার সময় অনেক পরিবারের হাল ধরেছিল নারী। কুটির শিল্পের জাগরণ ঘটেছিল। এই স্থবির সময়ে আচমকা নারীর কাজের সুযোগ মিলেছিল। সেটিকে মূল্যায়ন করা হয়েছিল বলেই তখন অসংখ্য নারী উদ্যেক্তা অর্থনীতিকে সচল রাখতে সাহায্য

করেছেন। ওই সময়েও নারীকে থামানোর চেষ্টা হয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। গৃহস্থালি কাজের বাইরে তাকে বিকশিত হওয়ার পথে দেওয়া হয়েছে বাধা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবারো নারীকে মজুরিবিহীন গৃহস্থালি কাজের জীবনে ফিরতে হয়েছে। সবাই না হলেও অনেককেই যেতে হয়েছে।

বাজেট ক্রমাগত বড় হচ্ছে, বাড়ছে ট্যাক্স আদায়ের পরিমাণ। জিডিপির আকার বড় হচ্ছে আর বাড়ছে মাথাপিছু আয়। এই বাজেট বড় হওয়া আর জিডিপি বাড়ার পেছনে যাদের অবদান তারা কি আড়ালেই থাকবে? এমনটা হওয়া উচিত নয়। নারীর অধিকারের প্রশ্নে একটি দিবসে অসংখ্য প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এবার নারীর শ্রমের প্রশ্ন নিয়ে আরেকটি দিবস আমাদের সামনে এসেছে। এই দিবসের নারী জড়িয়ে আছে। ইতিহাসের কোনো অধ্যায়েই নারীকে বিমুজ্য রাখা যায়নি। তবে সঙ্গেও

বঞ্চনার ইতিহাসে বৃত্তবন্দি এখনো নারীর শ্রমের মূল্যায়ন। রাষ্ট্র কল্যাণমুখী হলে এখন কিভাবে পদক্ষেপ নেবে তা দ্রুতই ভাবতে হবে। নাহলে বৈশ্বিক সংকট কাউকে নিস্তার দেবে না।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ